ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত ২ ব্রিটিশ বাংলাদেশি

  • আপডেট সময় ১২:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

যুক্তরাজ্যে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবাদের মামলায় ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুই ভাই-বোনকে অভিযুক্ত করেছেন লন্ডনের একটি আদালত। হামলার পরিকল্পনার জন্য ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ চৌধুরী এবং পরিকল্পনার তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ছয় মাস তদন্তের পর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের অভিযুক্ত করেন উলউইচ ক্রাউন আদালত।

লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উবার চালক মোহিসুন্নাহ চৌধুরী সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। এর কয়েক বছর আগে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের কাছে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল সে। পরে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার শুরু করে। পরে তার কার্যক্রম তদন্ত করে মেট্রোপলিট্রন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ড। ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ তার বোনকে জানিয়েছিল, সে আরেকটি হামলা চালাতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ছুরি হামলার অনুশীলনে তাকে সহায়তার অনুরোধ করে। কিন্তু এই তথ্য পুলিশকে জানায়নি স্নেহা চৌধুরী।

মেট্রোপলিট্রন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ নিরাপরাধ মানুষদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তবে হামলার আগেই তার পরিকল্পনার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।’

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনলাইনে উগ্রবাদ প্রচার করতে থাকে মোহিসুন্নাহ। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রেপ্লিকা বন্দুক কেনে সে। পরে ছদ্মবেশে অনলাইনে তার বন্ধু হয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এভাবে তার কাছ থেকে হামলা পরিকল্পনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে লুটন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মোহিসুন্নাহর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনে কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে ওই মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়। চলতি সপ্তাহে এসব অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। আর মোহিসুন্নাহর এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও অনুশীলনের তথ্য পুলিশকে অবহিত না করার দায়ে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এর আগে প্রসিকিউটর ডানকান অ্যাটকিনসন বিচারককে জানিয়েছিলেন, ‘যুক্তরাজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হামলায় অংশ নিতে আগ্রহী চৌধুরী।’ তিনি বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ মাদাম তুসোর জাদুঘর, গে প্রাইড প্যারেড ও লন্ডনের পর্যটনবাহী বাসে হামলা পরিকল্পনা করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও এমনকি ভ্যান ব্যবহার করে অমুসলিমদের মৃত্যু ও ভোগান্তি সৃষ্টিই ওই ব্রিটিশ-বাংলাদেশির উদ্দেশ্য ছিল।’

আগামী ১৩ মার্চ মোহিসুন্নাহ ও তার বোনের সন্ত্রাসবাদী মামলার রায় ঘোষণা করবেন উলউইচ ক্রাউন আদালত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত ২ ব্রিটিশ বাংলাদেশি

আপডেট সময় ১২:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

যুক্তরাজ্যে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবাদের মামলায় ব্রিটিশ বাংলাদেশি দুই ভাই-বোনকে অভিযুক্ত করেছেন লন্ডনের একটি আদালত। হামলার পরিকল্পনার জন্য ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ চৌধুরী এবং পরিকল্পনার তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ছয় মাস তদন্তের পর সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তাদের অভিযুক্ত করেন উলউইচ ক্রাউন আদালত।

লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উবার চালক মোহিসুন্নাহ চৌধুরী সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। এর কয়েক বছর আগে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের কাছে অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল সে। পরে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার শুরু করে। পরে তার কার্যক্রম তদন্ত করে মেট্রোপলিট্রন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ড। ২৮ বছর বয়সী মোহিসুন্নাহ তার বোনকে জানিয়েছিল, সে আরেকটি হামলা চালাতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে ছুরি হামলার অনুশীলনে তাকে সহায়তার অনুরোধ করে। কিন্তু এই তথ্য পুলিশকে জানায়নি স্নেহা চৌধুরী।

মেট্রোপলিট্রন পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ নিরাপরাধ মানুষদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তবে হামলার আগেই তার পরিকল্পনার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।’

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনলাইনে উগ্রবাদ প্রচার করতে থাকে মোহিসুন্নাহ। সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রেপ্লিকা বন্দুক কেনে সে। পরে ছদ্মবেশে অনলাইনে তার বন্ধু হয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এভাবে তার কাছ থেকে হামলা পরিকল্পনার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাইয়ে লুটন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মোহিসুন্নাহর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ আনে কর্তৃপক্ষ। গত জানুয়ারিতে ওই মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়। চলতি সপ্তাহে এসব অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। আর মোহিসুন্নাহর এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও অনুশীলনের তথ্য পুলিশকে অবহিত না করার দায়ে তার বোন স্নেহা চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এর আগে প্রসিকিউটর ডানকান অ্যাটকিনসন বিচারককে জানিয়েছিলেন, ‘যুক্তরাজ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হামলায় অংশ নিতে আগ্রহী চৌধুরী।’ তিনি বলেছেন, ‘মোহিসুন্নাহ মাদাম তুসোর জাদুঘর, গে প্রাইড প্যারেড ও লন্ডনের পর্যটনবাহী বাসে হামলা পরিকল্পনা করেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি ও এমনকি ভ্যান ব্যবহার করে অমুসলিমদের মৃত্যু ও ভোগান্তি সৃষ্টিই ওই ব্রিটিশ-বাংলাদেশির উদ্দেশ্য ছিল।’

আগামী ১৩ মার্চ মোহিসুন্নাহ ও তার বোনের সন্ত্রাসবাদী মামলার রায় ঘোষণা করবেন উলউইচ ক্রাউন আদালত।