ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময় দেওয়ানবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল আলমের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ জনকল্যাণ ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইউকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো, ‘রৌদ্র ছায়ায় কবি কন্ঠে কাব্য কথা’ শীর্ষক কবিতায় আড্ডা ফ্রান্স দর্পণ – কমিউনিটি-সংবেদনশীল মুখপত্র এম সি ইন্সটিটিউট ফ্রান্সের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশিরা

  • আপডেট সময় ১২:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে বেশিরভাগের চেয়েই বেশি দরিদ্র বাংলাদেশিরা। অলাভজনক সংগঠন সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লিডিং টুগেদারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও দারিদ্রতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার প্রায় ৫০ লাখ অভিবাসীর বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১০ সালের আদমশুমারি এবং ২০১৭ সালের আমেরিকান কমিউনিটি সার্ভের ওপর নির্ভর করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৬৫ সালের মধ্যে এশিয়ান আমেরিকানরাই হবে সর্ববৃহৎ অভিবাসী জনগোষ্ঠী। দেশটিতে বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নেপালি অভিবাসী। তাদের বৃদ্ধির হার ২০৬ শতাংশ। আর ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।

তবে সেখানে বসবাসরতদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য প্রকট। ৫০ লাখ দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে ১০ শতাংশই দারিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি বাংলাদেশি ও নেপালিদের। বাংলাদেশিদের আয় ৪৯ হাজার ৮০০ ডলার। আর নেপালিদের ৪৩ হাজার ৫০০ ডলার।
নাগরিকত্ব না পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশই চারটি সরকারি সুবিধার মধ্যে অন্তত একটি পেয়ে থাকে। পাকিস্তানিদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৮ শতাংশ আর ভারতের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ। তবে অনথিভুক্ত ভারতীয়দের সংখ্যা ৬ লাখ ৩০ হাজার। ২০১০ সাল থেকে যা ৭২ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও থাকছেন ভারতীয়রা। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিলো আড়াই লাখ। তাই তাদের অনথিভুক্ত বিবেচনা করা হচ্ছে।
সংস্থাটির অন্তর্বতীকালীন সহ-নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মী শ্রীদারন বলেন, ‘আমরা আমাদের কমিউনিটিকে বাড়তে দেখেছি। যেকোনও সময়ের চেয়ে এখনই তাদের প্রয়োজন বোঝা সবচেয়ে জরুরি। ২০২০ সালের আদমশুমারিতে আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সরকারি সহায়তা নিশ্চিত প্রয়োজন।
আগামী আদম শুমারিতে নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প প্রশাসন। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই গণনা থেকে অনেকে বাদ পরবেন। বিশেষ করে ৬ লাখ দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীকে গণনাই করা হয় না। বঞ্চিত হবেন আরও হাজার হাজার মানুষ। লক্ষ্মী বলেন, এতে করে যাদের সহায়তা বেশি প্রয়েৃাজন তারাই বাদ পড়ে যেতে পারেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত

যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যে দ্বিতীয় বাংলাদেশিরা

আপডেট সময় ১২:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে বেশিরভাগের চেয়েই বেশি দরিদ্র বাংলাদেশিরা। অলাভজনক সংগঠন সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লিডিং টুগেদারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও দারিদ্রতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার প্রায় ৫০ লাখ অভিবাসীর বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১০ সালের আদমশুমারি এবং ২০১৭ সালের আমেরিকান কমিউনিটি সার্ভের ওপর নির্ভর করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৬৫ সালের মধ্যে এশিয়ান আমেরিকানরাই হবে সর্ববৃহৎ অভিবাসী জনগোষ্ঠী। দেশটিতে বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নেপালি অভিবাসী। তাদের বৃদ্ধির হার ২০৬ শতাংশ। আর ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।

তবে সেখানে বসবাসরতদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য প্রকট। ৫০ লাখ দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে ১০ শতাংশই দারিদ্রতায় দিন কাটাচ্ছে। সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি বাংলাদেশি ও নেপালিদের। বাংলাদেশিদের আয় ৪৯ হাজার ৮০০ ডলার। আর নেপালিদের ৪৩ হাজার ৫০০ ডলার।
নাগরিকত্ব না পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশই চারটি সরকারি সুবিধার মধ্যে অন্তত একটি পেয়ে থাকে। পাকিস্তানিদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৮ শতাংশ আর ভারতের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ। তবে অনথিভুক্ত ভারতীয়দের সংখ্যা ৬ লাখ ৩০ হাজার। ২০১০ সাল থেকে যা ৭২ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও থাকছেন ভারতীয়রা। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিলো আড়াই লাখ। তাই তাদের অনথিভুক্ত বিবেচনা করা হচ্ছে।
সংস্থাটির অন্তর্বতীকালীন সহ-নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মী শ্রীদারন বলেন, ‘আমরা আমাদের কমিউনিটিকে বাড়তে দেখেছি। যেকোনও সময়ের চেয়ে এখনই তাদের প্রয়োজন বোঝা সবচেয়ে জরুরি। ২০২০ সালের আদমশুমারিতে আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে সরকারি সহায়তা নিশ্চিত প্রয়োজন।
আগামী আদম শুমারিতে নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প প্রশাসন। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই গণনা থেকে অনেকে বাদ পরবেন। বিশেষ করে ৬ লাখ দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীকে গণনাই করা হয় না। বঞ্চিত হবেন আরও হাজার হাজার মানুষ। লক্ষ্মী বলেন, এতে করে যাদের সহায়তা বেশি প্রয়েৃাজন তারাই বাদ পড়ে যেতে পারেন।