ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সাম্প্রতিক রুশ সফরের দিকে নজর ছিল সমগ্র বিশ্বের। চলমান ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ জন্য মস্কোতে উড়ে যান ম্যাক্রন। কিন্তু সেখানে তাকে পুতিনের কাছে ঘেষতে দেয়া হয়নি। এমনকি দুই নেতা নিজেদের মধ্যে হাতও মেলাননি। দুজন যেই টেবিলে বসে আলোচনা করেছেন তা ছিল ৪ মিটার দীর্ঘ। এর দুই প্রান্তে বসে আলোচনা করেন দুই নেতা। কিন্তু কেনো পুতিনের সঙ্গে ম্যাক্রনকে এই দূরত্ব বজায় রাখতে হয়েছিল?
বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার নিয়ম অনুযায়ী সে দেশে পৌঁছানোর কোভিড পরীক্ষা করার কথা ছিল ফরাসি প্রেসিডেন্টের।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সাম্প্রতিক রুশ সফরের দিকে নজর ছিল সমগ্র বিশ্বের। চলমান ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ জন্য মস্কোতে উড়ে যান ম্যাক্রন। কিন্তু সেখানে তাকে পুতিনের কাছে ঘেষতে দেয়া হয়নি। এমনকি দুই নেতা নিজেদের মধ্যে হাতও মেলাননি। দুজন যেই টেবিলে বসে আলোচনা করেছেন তা ছিল ৪ মিটার দীর্ঘ। এর দুই প্রান্তে বসে আলোচনা করেন দুই নেতা। কিন্তু কেনো পুতিনের সঙ্গে ম্যাক্রনকে এই দূরত্ব বজায় রাখতে হয়েছিল?
বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার নিয়ম অনুযায়ী সে দেশে পৌঁছানোর কোভিড পরীক্ষা করার কথা ছিল ফরাসি প্রেসিডেন্টের।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন রুশ পরীক্ষায় অস্বীকৃতি জানান। তার তরফ থেকে এই প্রক্রিয়াকে অগ্রহণযোগ্য বলা হয়। এছাড়া জানানো হয় যে, এই পরীক্ষার বিষয়টি তার সময়সূচীতে নেই। ম্যাক্রনের পরীক্ষা প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিনও। মূলত এ কারণেই তাকে পুতিনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলে রাশিয়া।
ফরাসি কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ম্যাক্রনকে দুটি অপশন দেয় রাশিয়া। হয় তাকে রাশিয়ার পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে নইলে তাকে পুতিনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ম্যাক্রন ভয় পাচ্ছিলেন ওই পরীক্ষা করলে তার ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখবে রাশিয়া। তাই তিনি পরীক্ষায় অস্বীকৃতি জানান। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দুই নেতার মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হয়। পুরো আলোচনায় তারা নিজেদের মধ্যে হাত মেলাননি। এমনকি ৪ মিটার লম্বা টেবিলের দুই প্রান্তে বসে আলোচনা করেন তারা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল যে, বিশ্বকে একটি বার্তা দিতেই এই কৌশল হাতে নিয়েছিল ক্রেমলিন। কিন্তু পরে জানা গেলো আসল কারণ হচ্ছে ম্যাক্রনের কোভিড পরীক্ষায় অস্বীকৃতি জানানো।
এ নিয়ে ফরাসি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আমরা ভাল করেই জানতাম কেনো এই লম্বা টেবিলে আলোচনা হয়েছে এবং করমর্দনে না করা হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের ডিএনএ তাদের হাতে পরতে পারে সেই আশঙ্কা ছিল। রাশিয়ার তরফ থেকেও বিষয়টি বৈঠক শেষে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরীক্ষা না করায় এ ধরনের নিয়ম প্রয়োগের বিকল্প ছিলনা তাদের কাছে। তবে আলোচনায় এর কোনো প্রভাব পরেনি।