ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে বাংলাদেশ ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ব্রুতাইন এর নির্বাচন এবং পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্যারিসে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা,ফ্রান্সের নতুন কমিটির অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্টিত ফ্রান্সে নভেম্বর মাসে যেসব পরিবর্তন আসছে ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জনের হুমকি শেখ হাসিনার ঝালকাঠির দুটি আসনে বিএনপির দুর্গে আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘ইসলামী জোট’ ফরাসি বাজেট নিয়ে সংসদে টানাপোড়েন: সরকার টিকে থাকবে কি? আওয়ামীলীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ চান হাসিনা বালাগঞ্জ-গহরপুরে রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে নিয়ে অনলাইন বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা শুরু

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে ‘সর্বাত্মক সহযোগিতা’ দেবে ইইউ

  • আপডেট সময় ০৪:১৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ধৈর্য্য, উদারতা, সহমর্মিতা ও মানবিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সংকট উত্তোরণে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ওই সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে ইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি এসব কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো করার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।   হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে  মোঘেরিনি জানান, সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ।  সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি তাদের ‘সর্বাত্মক সহযোগিতা’র আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পালিয়ে আসা বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকরের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।  এদিকে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ৬৫০০ মানুষ দু’দেশের মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ড তমব্রুতে অবস্থান করছে।  দেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতাড়নে এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে মিয়ানমারকে দোষারোপ করছে জাতিসংঘ। এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগগুলো সম্পর্কে মোঘেরিনিকে বিস্তারিত জানান। নিরাপদ  ও ফলপ্রসু প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বিশেষত সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে ইউরোপীয় সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে অনুমোদন ছাড়া অবস্থান করা বাংলাদেশিদের চিহ্নিত ও ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও ইউ-এর মধ্যে থাকা স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নিয়ে আলোচনা করেন।বৈঠকের আলোচনায় এই বিষয়ে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে এক নৈশভোজে যোগ দেন সফররত মাহমুদ আলী। ওই নৈশভোজে ইইউ সাংসদরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। ওই নৈশ ভোজে মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে নেওয়া পরিকল্পনা বিশেষ করে আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়ন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে ইইউ সাংসদদের সমর্থন কামনা করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে বাংলাদেশ ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ব্রুতাইন এর নির্বাচন এবং পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে ‘সর্বাত্মক সহযোগিতা’ দেবে ইইউ

আপডেট সময় ০৪:১৯:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ধৈর্য্য, উদারতা, সহমর্মিতা ও মানবিকতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সংকট উত্তোরণে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ওই সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে ইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি এসব কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো করার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।   হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে  মোঘেরিনি জানান, সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ইইউ।  সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি তাদের ‘সর্বাত্মক সহযোগিতা’র আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পালিয়ে আসা বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকরের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন।  এদিকে এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ৬৫০০ মানুষ দু’দেশের মধ্যবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ড তমব্রুতে অবস্থান করছে।  দেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতাড়নে এ ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে মিয়ানমারকে দোষারোপ করছে জাতিসংঘ। এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগগুলো সম্পর্কে মোঘেরিনিকে বিস্তারিত জানান। নিরাপদ  ও ফলপ্রসু প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টির ওপর জোর দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। বিশেষত সেনাবাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

বৈঠকে ইউরোপীয় সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে অনুমোদন ছাড়া অবস্থান করা বাংলাদেশিদের চিহ্নিত ও ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ ও ইউ-এর মধ্যে থাকা স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নিয়ে আলোচনা করেন।বৈঠকের আলোচনায় এই বিষয়ে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে এক নৈশভোজে যোগ দেন সফররত মাহমুদ আলী। ওই নৈশভোজে ইইউ সাংসদরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। ওই নৈশ ভোজে মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে নেওয়া পরিকল্পনা বিশেষ করে আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়ন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে ইইউ সাংসদদের সমর্থন কামনা করেন।