ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে ফ্রান্স- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ প্যারিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন ফ্রান্সের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলর রাব্বানী খানের ফ্রান্স সিনেটের ‘মেডেল ড’অনার’ লাভ “অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমাজের দ্বৈত মানসিকতা* ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত

  • আপডেট সময় ১২:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে

লিবিয়া উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ২০ শিশুসহ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। চলতি মাসের শুরুতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংস্থাটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সোমবার বেঁচে যাওয়া একজনকে উদ্ধৃত করে দাতা সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ মাস বয়সী জমজ ও তাদের বাবা-মাও ছিলো। ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা ‍শুরু করে নৌকা দুটি। সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও মিসরের মতো আফ্রিকান দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং আরেকটি ভাঙতে শুরু করে। কয়েকজন ভাঙা অংশ আকড়ে ধরে বেঁচে গেছেন। এমএসএফ নামে পরিচিত ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সাহায্যের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পৌঁছানোর পূর্বেই নৌকা ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া একজন এমএসএফকে বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে নৌকাটি। সেসময় ১৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২০ জন শিশু ছিলো নৌকায়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মোবাইল নেভিগেশনে দেখতে পান যে মালটা উপকূল বেশি দূরে না। তিনি বলেন, আমরা সাঁতার কাঁটতে পারছিলাম না। অল্প কয়েকজনের কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলো। যারা নৌকা কিংবা ভাঙা অংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন তারাই বেঁচে গেছেন।
এমএসএফের নার্স জয় দেফ্রান্সিস বলেন, আমাদের দল কয়েকঘণ্টা ধরে বেঁচে যাওয়াদের চিকিৎসা দিয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় নৌকাডুবে অন্তত ১ হাজার জন নিহত হয়েছিলেন। জুনে ইতালীয় সরকার ও লিবীয় কোস্টগার্ড জানায়, ২০০ এরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগড়ের ডুবে মারা গেছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজারেরও বেশি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

লিবিয়া উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ২০ শিশুসহ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। চলতি মাসের শুরুতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংস্থাটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সোমবার বেঁচে যাওয়া একজনকে উদ্ধৃত করে দাতা সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ মাস বয়সী জমজ ও তাদের বাবা-মাও ছিলো। ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা ‍শুরু করে নৌকা দুটি। সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও মিসরের মতো আফ্রিকান দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং আরেকটি ভাঙতে শুরু করে। কয়েকজন ভাঙা অংশ আকড়ে ধরে বেঁচে গেছেন। এমএসএফ নামে পরিচিত ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সাহায্যের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পৌঁছানোর পূর্বেই নৌকা ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া একজন এমএসএফকে বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে নৌকাটি। সেসময় ১৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২০ জন শিশু ছিলো নৌকায়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মোবাইল নেভিগেশনে দেখতে পান যে মালটা উপকূল বেশি দূরে না। তিনি বলেন, আমরা সাঁতার কাঁটতে পারছিলাম না। অল্প কয়েকজনের কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলো। যারা নৌকা কিংবা ভাঙা অংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন তারাই বেঁচে গেছেন।
এমএসএফের নার্স জয় দেফ্রান্সিস বলেন, আমাদের দল কয়েকঘণ্টা ধরে বেঁচে যাওয়াদের চিকিৎসা দিয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় নৌকাডুবে অন্তত ১ হাজার জন নিহত হয়েছিলেন। জুনে ইতালীয় সরকার ও লিবীয় কোস্টগার্ড জানায়, ২০০ এরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগড়ের ডুবে মারা গেছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজারেরও বেশি।