সিলেটে রাতের আঁধারে সশস্ত্র যুবকরা হামলা চালিয়ে শাহপরান বাইপাসের মা খাদিজা জামে মসজিদ দখল ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা মসজিদের আকৃতি পরিবর্তন করে বাসা বানিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মসজিদের সহকারী মোতাওয়াল্লী মুজিবুর রহমান ডালিম জানিয়েছেন, চাদাবাজির মামলা দিয়ে জমি দখলের উদ্দেশ্যে ডা. ফারুক আহমদ ও তার লোকজন এই হামলা চালায়। এ সময় তারা মসজিদের আকৃতিও পরিবর্তন করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- শনিবার (৪ মে) মধ্যরাতে নগরীর টিলাগড়ের শতাধিক যুবক সশস্ত্র অবস্থায় মা খাদিজা মসজিদে যায়। সেখানে তারা মসজিদ ও এতিমখানায় হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় মসজিদ ও এতিমখানায় থাকা লোকজন ভয়ে সরে যান। এ অবস্থায় তারা মসজিদ ও এতিমখানায় ব্যাপক ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা মসজিদের মিনারের মাইকসহ আসবাসপত্র ভাংচুর করে। তারা এর আকৃতিতেও পরিবর্তন ঘটায়। পরে ডা. ফারুক আহমদ নামের এক ব্যক্তির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, এ ঘটনায় রাতেই মসজিদ কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে শাহপরান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মসজিদের সহকারী মোতাওয়াল্লি সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ডালিম জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল একটি চাদাবাজি মামলায় তিনি সহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সর্বশেষ গতকাল মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা নোমান আহমদ ও এতিমখানার খাদেমা কুতুবুন নেছা গতকাল মেট্রোপলিটন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এর আগে লোকমান আহমদ ও আলম মিয়া নামের আরো দুইজন জামিন পান।
মামলা দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে তারা শনিবার রাতের আধারে হামলা চালিয়ে মসজিদের আকৃতি পরিবর্তন করে বাসা বানিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে শাহপরান থানায়।
তিনি জানান- যে জমি নিয়ে মামলা ও হামলা দেওয়া হচ্ছে সেই জমিতে গত ২৫ শে এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সিলেটের এডিএম। শাহপরান থানার ওসিকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশ ২৬ তারিখ চাদাবাজির মামলা রেকর্ড করে প্রকৃতি মালিক মসজিদ কমিটিকে আসামি করেছে। মামলার সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় মসজিদ দখল করেছে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ সিলেট ভিউ