মিনহাজ হোসেন ইতালী প্রতিনিধিঃ গুটি গুটি পায়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ এসে হাজির অামাদের দুয়ারে। প্রতি বছরের ন্যায় সব শ্রেণীর বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করে যাচ্ছে, তার ব্যতিক্রম নয় ইতালীর সঞ্চারী সংঙ্গীতায়ন বিদ্যালয়।
বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পুরনো দুঃখ-গ্লানিকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সঞ্চারী সংঙ্গীতায়নের কর্ণধার সুসমিতা সুলতানার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এন টিভি ইউ কে পরিচালক সারোয়ার বাবু, ইউরোপ বুরো প্রধান ফারসো চৌধুরী, অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এন টিভি ইতালী বুরো মনিরুজ্জামান মনির, বাংলা প্রেসক্লাব ইতালীর সভাপতি বাংলা টিভি ইউরোপ বুরো শাওন আহমেদ সহ ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশীসহ ইতালীয়ান ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন ইতালীর বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এক নতুন আমেজে ইতালীর রোমস্ত সঞ্চারী সংঙ্গীতায়ন বিদ্যালয় ছিল লোকে লোকারণ্য। মেলায় উপস্থিত হয়েই দেখা গেছে লাল-সাদা শাড়ি, কামিজ আর পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ইতালিস্থ প্রবাসী বাঙ্গালীরা ছুটছেন বিদ্যালয়ের দিকে। বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছাতেই কানে আসে বাংলা গানের সূর। দুয়ারের পাশে যেতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বাংলা ঐতিহ্যর মুড়ির মুয়া, মুড়লি, চিড়ার মুয়া, বাতাসা, মিষ্টি সহ বাহারি খাবার।
বিদ্যালয়ের চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। সুবিশাল হলরুমে বসানো বাহারি ধরনের বাঙালি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন রোমের বাংলাদেশি নারীরা।
নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে সন্তানকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এক বড় সুযোগ এই মেলা। বিদেশের মাঝে আপন সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা দিন কাটানো যায় এই মেলায়।
ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় শিল্পীদের বাংলা সংগীতের মূর্ছনা মেলা ছিল আনন্দ মুখর। নিয়মিত বিরতি দিয়ে পরিবেশিত হয় সঞ্চারী সংঙ্গীতায়নের শিক্ষার্থীদের নৃত্য।
পরিশেষে সঞ্চারী সংঙ্গীতায়ন বিদ্যালয়ের কর্ণধার সুসমিতা সুলতানা অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।