ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া ‌ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য প্রস্তুত রোম জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির কমিটি ঘোষণা ও ঈদ পূর্ণমিলনী‌ প্যারিসে “কীভাবে গড়বেন নেক সন্তান” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতালির টুর্নামেন্টের গ্রুপ বাছাই সম্পন্ন: সোমবার উদ্বোধনী খেলা স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ফ্রান্স গ্লোবাল জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্সে জমকালো আয়োজনে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্পোর্টিং ক্লাবের ইফতার ও জার্সি উন্মোচন প্যারিসে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনট “ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন” শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা

সালিশ বৈঠকে প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতন, আটক ২

  • আপডেট সময় ১১:২২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অগাস্ট ২০১৮
  • ২৫২ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সামাজিক বিচারের নামে জনসম্মুখে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর দেবরদের (স্বামীর ভাই) যোগসাজশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ আগস্ট দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বেকিসাত পাড়া গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী গ্রামের সামছু ব্যাপারীর ছেলে প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই নারীর বোন বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার শিকার ওই নারী চার সন্তানের জননী । তার এক ছেলে কোরআনে হাফেজ। আরেক ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। অন্য দুজনের একজন কেজি’র ছাত্র। আর ছোট ছেলের বয়স চার বছর। গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে ‘পরকীয়ায় জড়িত’ অভিযোগে পাশের বারপাড়া গ্রামের আলম নামে এক ব্যক্তিকে ডেকে এনে জোর করে ওই গৃহবধূর ঘরে আটকে রাখে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। আটক দু’জনের ওপর রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন চালায় প্রবাসী কবিরের ভাই সাইফুল, বাবুল, মিন্টু, মোস্তাক ও আরেক ভাই খোকনের স্ত্রী। পরদিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিবেশি মিন্টু মাতব্বরদের নির্দেশে লাঠি দিয়ে ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এছাড়া, বেধড়ক পেটানো হয় আটক আলমকেও।

তাদেরকে নির্যাতনের ঘটনায় ১ আগস্ট ওই নারীর বোন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযুক্ত আসামি সাইফুল ও একই গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছে— একই গ্রামের মোবারকের ছেলে মিন্টু, বারেক মিয়ার ছেলে মোস্তাক ও নির্যাতিতা নারীর দেবরের শিল্পী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টা তাদের পারিবারিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কবিরের চার ভাই ও এক ভাবি মিলে এ কাণ্ডটি ঘটিয়েছে।’

মনির তালুকদার বলেন, ‘ওই দিন সকালে বৈঠক শুরুর পর হঠাৎ করেই কবিরের এক ভাই এসে তার ভাবীকে মারধরের নির্দেশ দিতে থাকে। পরে আমার ইউনিয়নের তিনজন সদস্য ও আশপাশের লোকজন মিলে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠাই এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ মামলায় প্রধান আসামি সাইফুলসহ আরেক আসামি বাবুলকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বাংলা ট্রিবিউন থেকে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

সালিশ বৈঠকে প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতন, আটক ২

আপডেট সময় ১১:২২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অগাস্ট ২০১৮

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সামাজিক বিচারের নামে জনসম্মুখে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর দেবরদের (স্বামীর ভাই) যোগসাজশে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ আগস্ট দাউদকান্দি উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বেকিসাত পাড়া গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী গ্রামের সামছু ব্যাপারীর ছেলে প্রবাসী কবির হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই নারীর বোন বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার শিকার ওই নারী চার সন্তানের জননী । তার এক ছেলে কোরআনে হাফেজ। আরেক ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। অন্য দুজনের একজন কেজি’র ছাত্র। আর ছোট ছেলের বয়স চার বছর। গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে ‘পরকীয়ায় জড়িত’ অভিযোগে পাশের বারপাড়া গ্রামের আলম নামে এক ব্যক্তিকে ডেকে এনে জোর করে ওই গৃহবধূর ঘরে আটকে রাখে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। আটক দু’জনের ওপর রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন চালায় প্রবাসী কবিরের ভাই সাইফুল, বাবুল, মিন্টু, মোস্তাক ও আরেক ভাই খোকনের স্ত্রী। পরদিন সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠক চলাকালে প্রতিবেশি মিন্টু মাতব্বরদের নির্দেশে লাঠি দিয়ে ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এছাড়া, বেধড়ক পেটানো হয় আটক আলমকেও।

তাদেরকে নির্যাতনের ঘটনায় ১ আগস্ট ওই নারীর বোন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযুক্ত আসামি সাইফুল ও একই গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছে— একই গ্রামের মোবারকের ছেলে মিন্টু, বারেক মিয়ার ছেলে মোস্তাক ও নির্যাতিতা নারীর দেবরের শিল্পী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টা তাদের পারিবারিক ষড়যন্ত্রের অংশ। কবিরের চার ভাই ও এক ভাবি মিলে এ কাণ্ডটি ঘটিয়েছে।’

মনির তালুকদার বলেন, ‘ওই দিন সকালে বৈঠক শুরুর পর হঠাৎ করেই কবিরের এক ভাই এসে তার ভাবীকে মারধরের নির্দেশ দিতে থাকে। পরে আমার ইউনিয়নের তিনজন সদস্য ও আশপাশের লোকজন মিলে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠাই এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ মামলায় প্রধান আসামি সাইফুলসহ আরেক আসামি বাবুলকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বাংলা ট্রিবিউন থেকে