ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনট “ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন” শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা বালাগঞ্জে পুলিশের অভিযানে পলাতক আসামি গ্রেফতার আজ অধ্যাপক বদরুজ্জামান’র জন্মদিন: একজন শিক্ষকই নন, এক অনুপ্রেরণার নাম হবিগঞ্জে করিম-মাহমুদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল দর্শক থেকে সমর্থক হোন, সমর্থক থেকে সহযোদ্ধা হোন, তারপর জাতির সেনাপতি হোন। এ লড়াইসবার: হাসনাত আরিয়ান খান প্রবাসিদের ভোটাধিকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে : বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে ফ্রান্স- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ

সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে ‘আবায়া’ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ৪৭৪ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী। খবর এএফপির।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, শিক্ষায় কঠোরভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবহার করে ফ্রান্স। কিন্তু এই পোশাকটি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে।

টিএফ১ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, স্কুলে আর আবায়া পরা সম্ভব হবে না। এ জন্য তিনি দেশজুড়ে স্কুলগুলোর প্রধানদের কাছে এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সেখানে ছুটি শেষ হয়ে স্কুল শুরু হচ্ছে। তার আগেই প্রধান শিক্ষকদের এই বার্তা দিলেন গাব্রিয়েল আত্তাল।

ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস অথবা মুসলিমদের স্কার্ফ পরায় অনুমতি দেয় না। সরকারি স্কুলগুলোতে ১৯ শতক থেকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রশাসনের সময় আরও কঠোর।

২০০৪ সালে দেশটির স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরায় নিষিদ্ধ হয়েছিল এবং ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকা পরে মুখ ঢেকে চলায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

তবে বামপন্থী বিরোধী ফ্রান্স আববোউড পার্টির ক্লিমেন্টাইন অটেইন সরকারের এ উদ্যোগকে পোশাক পরার স্বাধীনতায় কড়াকড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মিস অটেইন বলেন, সরকারের এই ঘোষণা অসাংবিধানিক। ফ্রান্স যে ধর্মনিরপেক্ষ বলে তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি আছে, এটা তার বিরোধী। মুসলিমদের অস্বীকার করার জন্য সরকার যে উদগ্রীব হয়ে আছে তার একটি প্রতীকী বিষয় এটি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠনট “ফ্রান্স বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন”

সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে ‘আবায়া’ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স

আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী। খবর এএফপির।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, শিক্ষায় কঠোরভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবহার করে ফ্রান্স। কিন্তু এই পোশাকটি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে।

টিএফ১ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, স্কুলে আর আবায়া পরা সম্ভব হবে না। এ জন্য তিনি দেশজুড়ে স্কুলগুলোর প্রধানদের কাছে এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সেখানে ছুটি শেষ হয়ে স্কুল শুরু হচ্ছে। তার আগেই প্রধান শিক্ষকদের এই বার্তা দিলেন গাব্রিয়েল আত্তাল।

ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস অথবা মুসলিমদের স্কার্ফ পরায় অনুমতি দেয় না। সরকারি স্কুলগুলোতে ১৯ শতক থেকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রশাসনের সময় আরও কঠোর।

২০০৪ সালে দেশটির স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরায় নিষিদ্ধ হয়েছিল এবং ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকা পরে মুখ ঢেকে চলায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

তবে বামপন্থী বিরোধী ফ্রান্স আববোউড পার্টির ক্লিমেন্টাইন অটেইন সরকারের এ উদ্যোগকে পোশাক পরার স্বাধীনতায় কড়াকড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মিস অটেইন বলেন, সরকারের এই ঘোষণা অসাংবিধানিক। ফ্রান্স যে ধর্মনিরপেক্ষ বলে তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি আছে, এটা তার বিরোধী। মুসলিমদের অস্বীকার করার জন্য সরকার যে উদগ্রীব হয়ে আছে তার একটি প্রতীকী বিষয় এটি।