ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত বালাগঞ্জে আল ইসলাহ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন স্বদেশ গমন উপলক্ষে আবু বক্করকে সংবর্ধনা প্রদান ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় ফ্রান্সে যুবদলের আনন্দ উৎসব বালাগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন : মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে ধানের শীষ

সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি চান না বেশিরভাগ ফরাসি: ইউগভের জরিপ

  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ যেসব দেশ ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষপাতী নন বেশিরভাগ ফরাসি জনগণ। ফ্রান্সের ৭৫ শতাংশ জনগণ চান, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এসব দেশের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করুক। সোমবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।

ফ্রান্স বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটিও এটি। ২০১৪ সালে দেশটি ওই চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে এ ধরনের ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রি বা রফতানি না করতে দেশটির ওপর আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়।  সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ফরাসি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ফরাসি পার্লামেন্টেরও জোরালো কোনও ভূমিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রতিবেদনে বলা হয়,ফরাসি সরকার ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরব ও আমিরাতকে অস্ত্র সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। এরইমধ্যে ফরাসি জনগণের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করলো ইউগভ।

ইন্টারনেটভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বিশ্বাস করে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে এমন দেশগুলোকে ফ্রান্সের অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা হোক। আর ৭৫ শতাংশ ফরাসি জনগণ মনে করেন ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ কেরা উচিত। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ১০ জনে ৭ জনই মনে করেন, ফ্রান্স সরকারের উচিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা।

২০-২১ মার্চ অনলাইনে জরিপটি চালিয়েছে ইউগভ। ১৮ কিংবা তার বেশি বয়সী ১,০২৬ জন ফরাসি নাগরিককে জরিপের নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার মানুষের। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। সৌদি জোটের বিমান হামলা থেকে বাদ পড়েনি জানাজার নামাজ থেকে শুরু করে বিয়েবাড়িও। ভয়াবহ বিমান হামলার তাণ্ডবে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখে তারা বরাবরই সৌদি আরবকে শীর্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে শনাক্ত করে আসছে। জার্মানি ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র রফতানির আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করে থাকে। ২০১৫ সালে একইরকম উদ্বেগ জানিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেছিল সুইডেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি”

সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি চান না বেশিরভাগ ফরাসি: ইউগভের জরিপ

আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ যেসব দেশ ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির পক্ষপাতী নন বেশিরভাগ ফরাসি জনগণ। ফ্রান্সের ৭৫ শতাংশ জনগণ চান, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এসব দেশের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করুক। সোমবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ প্রকাশিত এক জরিপ প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।

ফ্রান্স বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ। অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটিও এটি। ২০১৪ সালে দেশটি ওই চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে এ ধরনের ক্ষেত্রে অস্ত্র বিক্রি বা রফতানি না করতে দেশটির ওপর আইনি বাধ্যবাধকতা আরোপিত হয়।  সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ফরাসি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ফরাসি পার্লামেন্টেরও জোরালো কোনও ভূমিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে সৌদি জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে চাপের মুখে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রতিবেদনে বলা হয়,ফরাসি সরকার ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরব ও আমিরাতকে অস্ত্র সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে। এরইমধ্যে ফরাসি জনগণের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করলো ইউগভ।

ইন্টারনেটভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইউগভের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বিশ্বাস করে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে এমন দেশগুলোকে ফ্রান্সের অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা হোক। আর ৭৫ শতাংশ ফরাসি জনগণ মনে করেন ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ কেরা উচিত। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ১০ জনে ৭ জনই মনে করেন, ফ্রান্স সরকারের উচিত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করা।

২০-২১ মার্চ অনলাইনে জরিপটি চালিয়েছে ইউগভ। ১৮ কিংবা তার বেশি বয়সী ১,০২৬ জন ফরাসি নাগরিককে জরিপের নমুনা হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের মার্চে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ হাজার মানুষের। গৃহহীন হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। সৌদি জোটের বিমান হামলা থেকে বাদ পড়েনি জানাজার নামাজ থেকে শুরু করে বিয়েবাড়িও। ভয়াবহ বিমান হামলার তাণ্ডবে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখে তারা বরাবরই সৌদি আরবকে শীর্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে শনাক্ত করে আসছে। জার্মানি ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র রফতানির আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করে থাকে। ২০১৫ সালে একইরকম উদ্বেগ জানিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেছিল সুইডেন।