ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রধান হাসনাত আরিয়ান খানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ফ্রান্সে বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের ১ যুগপূর্তি উদযাপন বালাগঞ্জে জামালপুর তোহফা ফাউন্ডেশনের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উন্মোচন ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরকে প্যারিস বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা দেওয়ানবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের সম্মাননা ও প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে দোয়া মাহফিল সীমান্ত হত্যা বন্ধে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পালিত ফ্রান্সে গহরপুরবাসীর প্রথম সামাজিক সংগঠন ‘গহরপুর এসোসিয়েশন ইন ফ্রান্স’-এর আত্মপ্রকাশ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ব্যবসার মালিকানা পাবেন প্রবাসীরা স্রোতে’র আয়োজনে বিজয়ের কবিতাপাঠ

স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে চায় স্কটল্যান্ড

  • আপডেট সময় ০২:২৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

স্বাধীনতা প্রশ্নে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোটের প্রস্তাব পাস হয়েছে। দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস স্টারজন চলতি বছরেই এই ভোট আয়োজন করতে চান এবং এই বিষয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

স্কটল্যান্ডের মোট বাসিন্দা প্রায় ৫৫ লাখ। অঙ্গরাজ্যটিতে ২০১৪ সালেও একবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে স্কটিশদের মন বদলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলেও, স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিল।

বুধবার পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবে ৬৪ জন আইনপ্রণেতা সমর্থন দেন। বিরোধিতা করেন ৫৪ জন। নিকোলা স্টারজন বরাবরই বলে আসছেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ইইউ থেকে বের করে নেওয়া যাবে না। সেকশন ৩০ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। তবে তার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সম্প্রতি এক চিঠিতে জনসন বলেন, ‘ক্ষমতার এমন হস্তান্তরে তিনি রাজি নন যেটা আবার গণভোট ডেকে আনবে।’ স্টারজন বলেন, স্কটল্যান্ডের ওপর ব্রেক্সিটের প্রভাবেই নতুন করে গণভোটের আলোচনা সামনে এসেছে।

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হতে যাচ্ছে। সেদিন যুক্তরাজ্য ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় স্টারজনকে ঠিক করতে হবে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত কী হবে।

স্কটিশ সেক্রেটারি অ্যালিস্টার জ্যাক বলেন, দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনে স্কটল্যান্ডের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য আগের অবস্থানেই অটল রয়েছে।

অ্যালিস্টার জ্যাক বলেন, শুক্রবার আমরা ইইউ ছাড়ছি। এখন আমাদের সামগ্রিকভাবে নজর দেওয়া দরকার। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের কি হবে, আমিদের বাণিজ্য নীতি কি হবে, গণভোট আয়োজন না করে আমরা আরও ভালো কিছু কী করতে পারি সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

ফ্রান্সে লায়েক আহমদ তালুকদারের পিতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে চায় স্কটল্যান্ড

আপডেট সময় ০২:২৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০

স্বাধীনতা প্রশ্নে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোটের প্রস্তাব পাস হয়েছে। দেশটির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলাস স্টারজন চলতি বছরেই এই ভোট আয়োজন করতে চান এবং এই বিষয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

স্কটল্যান্ডের মোট বাসিন্দা প্রায় ৫৫ লাখ। অঙ্গরাজ্যটিতে ২০১৪ সালেও একবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে স্কটিশদের মন বদলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটে যুক্তরাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলেও, স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিল।

বুধবার পার্লামেন্টে এই প্রস্তাবে ৬৪ জন আইনপ্রণেতা সমর্থন দেন। বিরোধিতা করেন ৫৪ জন। নিকোলা স্টারজন বরাবরই বলে আসছেন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ইইউ থেকে বের করে নেওয়া যাবে না। সেকশন ৩০ অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। তবে তার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সম্প্রতি এক চিঠিতে জনসন বলেন, ‘ক্ষমতার এমন হস্তান্তরে তিনি রাজি নন যেটা আবার গণভোট ডেকে আনবে।’ স্টারজন বলেন, স্কটল্যান্ডের ওপর ব্রেক্সিটের প্রভাবেই নতুন করে গণভোটের আলোচনা সামনে এসেছে।

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হতে যাচ্ছে। সেদিন যুক্তরাজ্য ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় স্টারজনকে ঠিক করতে হবে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত কী হবে।

স্কটিশ সেক্রেটারি অ্যালিস্টার জ্যাক বলেন, দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনে স্কটল্যান্ডের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য আগের অবস্থানেই অটল রয়েছে।

অ্যালিস্টার জ্যাক বলেন, শুক্রবার আমরা ইইউ ছাড়ছি। এখন আমাদের সামগ্রিকভাবে নজর দেওয়া দরকার। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারীদের কি হবে, আমিদের বাণিজ্য নীতি কি হবে, গণভোট আয়োজন না করে আমরা আরও ভালো কিছু কী করতে পারি সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।