মিনহাজ হোসেন ইতালিঃ স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে ১১ মার্চ শনিবার ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনা হয় জাতীয় সংসদে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলোরাত্রিখ্যাত ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ২য় বার বাংলাদেশ দূতাবাস রোম-ইতালীর উদ্দ্যোগে আয়োজন করা হয় এক আলোচনা সভার। সভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের নামে চালানো বর্বরতার বর্ননা করে বক্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান মন্ত্রীর বণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দ। দূতাবাসের প্রথম সচিব এরফানুল হকের পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম কিবরিয়া, মহিলা সম্পাদক হোসনে আরা বেগম, ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ সমিতি ইতালীর সভাপতি আফতাব বেপারী, ইতালী আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মাঝি, আব্দুর রউফ ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসূল কিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক দিন মোহাম্মদ দিনু, জামান মোক্তার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ইতালী শাখার সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়না আহম্মেদ, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুনসহ আরো অনেকে। বক্তব্যের বর্ননায় নেতৃবৃন্দ বলেন রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সেদিন। ২৫ মার্চের পথ ধরেই এদেশে গণহত্যা শুরু হয়। আমাদের মাঝে অনেকেই উপস্তিত আছেন যারা ওই সময়ের ভয়াবহ চিত্র দেখেননি। সেই ২৫শে মার্চের মধ্যরাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ সেই রাতেই গড়ে ওঠে প্রতিরোধ, শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ৷ দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তি সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর৷ বাঙালির ওপর ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামের ঐ নিধনযজ্ঞের পরিকল্পনা হয়েছিল একাত্তরের মার্চের শুরুতেই, জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাড়ি পাকিস্তানের লারকানায়৷ শিকারের নামে এই গণহত্যার ষড়যন্ত্রে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেনারেল ইয়াহিয়া এবং জেনারেল হামিদ অন্যতম৷ তাঁরা মনে করেছিলেন, ২০ হাজার মানুষ হত্যা করলেই ভয় পাবে বাঙালিরা, স্বাধীনতা এবং স্বাধিকারের কথা আর বলবে না৷ ২৫শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগের পর পাকিস্তান পৌঁছানোর আগেই ঢাকায় গণহত্যা শরু হয়৷ আর সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে৷ কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬শে মার্চ রাতের শুরুতেই চিরকুট বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান তিনি৷ এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইতালী আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ইতালী শাখা, মহিলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমীক লীগ ইতালী, রোম মহানগর আওয়ামী লীগ, রোমা নর্দ আওয়ামী লীগ, তুসকোলানা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইতালী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ছাত্র লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শেষ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদসহ আওয়ামী সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
সর্বশেষ সংবাদ