ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ বালাগঞ্জে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে মানববন্ধন প্যারিসে খিয়াং নয়ন রচিত মোটিভেশনাল বিষয়ক ‘Impression de vie’ জীবনের ছাপ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে- নবাগত ওসি নির্মল দেব এর মতবিনিময় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময়

আফ্রিকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী বাংলাদেশীরাঃকারো ভ্রুক্ষেপ নেই

  • আপডেট সময় ১০:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u305720254/domains/francedorpan.com/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/template-parts/common/single_two.php on line 117

দর্পণ রিপোর্টঃ বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত তৈরীতে যে নিয়ামকটি সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছে,রাখছে এবং রাখবে তার নাম প্রবাসী রেমিট্যান্স। এ ব্যাপারে কেউ দ্বিমত করে, জানা নেই। সব সরকারের পক্ষ থেকে তা বরাবরই স্বীকারও করা হয়। কিন্তু প্রবাসীদের অবদান তারা অন্তরে কতটা বিশ্বাস করেন তা মোটাদাগে প্রশ্নবিদ্ধ।
বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যুদ্ধারা যুদ্ধরত আছেন। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা বা অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশের সব অঞ্চলেই আছে তাদের শ্রমের হাত।

প্রবাসীরা বিনাশ্রমে কাড়িকাড়ি আয় করেন আর দেশে প্রেরণ করেন ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। এজন্য তাদের অনেক ত্যাগ ও শ্রম দিতে হয়। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশে প্রবাসীরা আক্ষরিক অর্থেই জীবন বাজি রেখে অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতটুকুও বাড়িয়ে বলা হচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের দিকে খেয়াল করলে, সহজেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
গত এক মাসে সেখানে অন্তত ১১ জনের মত প্রবাসী বাংলাদেশী গুলি বা ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে ইমন হোসেন (২৫) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবছর এপর্যন্ত প্রায় অর্ধশত রেমিট্যান্স যুদ্ধা সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তবে এমন খবর কয়েকটা অনলাইনে আসলেও মূল ধারার কোন মিডিয়ায় তেমন একটা আসেও না। সাউথ আফ্রিকা প্রবাসীদের অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সেখানে প্রতিনিয়ত অপহরণ ও হত্যাকান্ড ঘটে আসলেও অধিকাংশ হত্যাকান্ডকে চোর ডাকাতের গুলিতে নিহত বলে চালিয়ে দেয়া হয়। বাকী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়না।

সেখানকার পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডের পর পুলিশের পক্ষে একটি ইউ ডি মামলা ছাড়া ভিকটিমের পক্ষে কোন মামলা হয়না। তাই কি কারণে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা পুলিশী তদন্তের বাইরে থেকে যায়।

অনেক সময় দেখা যায় হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির কোন আত্নীয় স্বজন সাউথ আফ্রিকায় না থাকায় এ হত্যাকান্ড নিয়ে তেমন কেউ আগ্রহ দেখায় না।

আমিনুল ইসলাম নামে একজন সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী দুঃখের সাথে বলেন, বাংলাদেশি ছাড়া অন্যকোন বিদেশী নাগরিক সাউথ আফ্রিকায় খুনের শিকার হলে ঐ দেশের কমিউনিটি নেতারা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত আসামীর নামে মামলা দায়ের করে এবং মামলার চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত ঐ মামলার তদারকি করে যায়। এমন কি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস পর্যন্ত মামলার তদারকির জন্য নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করে থাকে।

কিন্ত একমাত্র বাংলাদেশি প্রবাসীদের বেলায় সবকিছু উল্টো। যে কোন এলাকায় কোন বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের শিকার হলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা চাঁদা তুলে লাশটা কোনরকমে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে
এ ক্ষেত্রে আমরা কোনদিন দেখিনি বাংলাদেশ কমিউনিটির কোনো নেতা একটি লাশের তদারকি করতে বা কমিউনিটি বাদী হয়ে মামলা করতে।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের এবিষয়ে কোন নজর নেই বলে অভিযোগ একাধিক প্রবাসীর । এখন পর্যন্ত সেখানকার দূতাবাস এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সাথে কোন আলোচনা করেছে এমন খবরও শোনা যায় না। অথচ এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কড়া প্রতিবাদ প্রত্যাশিত। অন্তত সরকারের নিজের স্বার্থে হলেও এগিয়ে আসা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ সরকার বা সেখানকার দূতাবাস যে কোনো প্রকারেই হোক দক্ষিণ আফ্রিকার অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশির বিষয় নিয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এখান থেকে প্রবাসীরা সে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। দেশ হারাবে রেমিট্যান্সের একটি বড় বাজার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন

আফ্রিকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় প্রবাসী বাংলাদেশীরাঃকারো ভ্রুক্ষেপ নেই

আপডেট সময় ১০:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯

দর্পণ রিপোর্টঃ বাংলাদেশের বর্তমান শক্তিশালী অর্থনীতির ভিত তৈরীতে যে নিয়ামকটি সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছে,রাখছে এবং রাখবে তার নাম প্রবাসী রেমিট্যান্স। এ ব্যাপারে কেউ দ্বিমত করে, জানা নেই। সব সরকারের পক্ষ থেকে তা বরাবরই স্বীকারও করা হয়। কিন্তু প্রবাসীদের অবদান তারা অন্তরে কতটা বিশ্বাস করেন তা মোটাদাগে প্রশ্নবিদ্ধ।
বর্তমানে বিশ্বের শতাধিক দেশে বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যুদ্ধারা যুদ্ধরত আছেন। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা বা অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশের সব অঞ্চলেই আছে তাদের শ্রমের হাত।

প্রবাসীরা বিনাশ্রমে কাড়িকাড়ি আয় করেন আর দেশে প্রেরণ করেন ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। এজন্য তাদের অনেক ত্যাগ ও শ্রম দিতে হয়। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশে প্রবাসীরা আক্ষরিক অর্থেই জীবন বাজি রেখে অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতটুকুও বাড়িয়ে বলা হচ্ছে না। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীদের দিকে খেয়াল করলে, সহজেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
গত এক মাসে সেখানে অন্তত ১১ জনের মত প্রবাসী বাংলাদেশী গুলি বা ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে ইমন হোসেন (২৫) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবছর এপর্যন্ত প্রায় অর্ধশত রেমিট্যান্স যুদ্ধা সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তবে এমন খবর কয়েকটা অনলাইনে আসলেও মূল ধারার কোন মিডিয়ায় তেমন একটা আসেও না। সাউথ আফ্রিকা প্রবাসীদের অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সেখানে প্রতিনিয়ত অপহরণ ও হত্যাকান্ড ঘটে আসলেও অধিকাংশ হত্যাকান্ডকে চোর ডাকাতের গুলিতে নিহত বলে চালিয়ে দেয়া হয়। বাকী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়না।

সেখানকার পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডের পর পুলিশের পক্ষে একটি ইউ ডি মামলা ছাড়া ভিকটিমের পক্ষে কোন মামলা হয়না। তাই কি কারণে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা পুলিশী তদন্তের বাইরে থেকে যায়।

অনেক সময় দেখা যায় হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির কোন আত্নীয় স্বজন সাউথ আফ্রিকায় না থাকায় এ হত্যাকান্ড নিয়ে তেমন কেউ আগ্রহ দেখায় না।

আমিনুল ইসলাম নামে একজন সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী দুঃখের সাথে বলেন, বাংলাদেশি ছাড়া অন্যকোন বিদেশী নাগরিক সাউথ আফ্রিকায় খুনের শিকার হলে ঐ দেশের কমিউনিটি নেতারা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত আসামীর নামে মামলা দায়ের করে এবং মামলার চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত ঐ মামলার তদারকি করে যায়। এমন কি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস পর্যন্ত মামলার তদারকির জন্য নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করে থাকে।

কিন্ত একমাত্র বাংলাদেশি প্রবাসীদের বেলায় সবকিছু উল্টো। যে কোন এলাকায় কোন বাংলাদেশি নাগরিক হত্যাকান্ডের শিকার হলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা চাঁদা তুলে লাশটা কোনরকমে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে
এ ক্ষেত্রে আমরা কোনদিন দেখিনি বাংলাদেশ কমিউনিটির কোনো নেতা একটি লাশের তদারকি করতে বা কমিউনিটি বাদী হয়ে মামলা করতে।

এদিকে বাংলাদেশ সরকারের এবিষয়ে কোন নজর নেই বলে অভিযোগ একাধিক প্রবাসীর । এখন পর্যন্ত সেখানকার দূতাবাস এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সাথে কোন আলোচনা করেছে এমন খবরও শোনা যায় না। অথচ এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কড়া প্রতিবাদ প্রত্যাশিত। অন্তত সরকারের নিজের স্বার্থে হলেও এগিয়ে আসা উচিত ছিল।
বাংলাদেশ সরকার বা সেখানকার দূতাবাস যে কোনো প্রকারেই হোক দক্ষিণ আফ্রিকার অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশির বিষয় নিয়ে সে দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আফ্রিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এখান থেকে প্রবাসীরা সে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। দেশ হারাবে রেমিট্যান্সের একটি বড় বাজার।