সোমবার মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে যারা আগ্রহী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের থাকতে হবে সরব উপস্থিতি। দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য এ সংক্রান্ত শর্তও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত পূরণ করতে না পারলে মনোনয়নের দৌঁড় থেকে শুরুতেই ছিটকে পড়বেন আগ্রহী প্রার্থীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের ফেসবুক ফ্যানপেজে অন্তত ১৫ হাজার লাইক ও টুইটারে ৫ হাজার ফলোয়ার থাকার শর্ত দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। তাছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপে থাকা লাগবে নির্বাচনি কর্মীদের নিয়ে গঠিত গ্রুপ এবং রিটুইট করতে হবে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে করা সব টুইট!
কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশ শাখা থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলের সব নির্বাচিত সদস্য ও কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অবস্থানের তথ্য জমা দিতে হবে। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ করেছে। এরা ‘রাজীব সেনা’ নামে পরিচিত। নতুন করে আরও পাঁচ হাজার ‘রাজীব সেনা’ নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কংগ্রেসের প্রযুক্তি শাখার প্রধান ধর্মেন্দ্র বাজপাই বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় হোয়াটসঅ্যাপ হয়ে উঠবে আমাদের প্রধান অস্ত্র।’
বিজেপিও বসে নেই। গত জুলাই মাসে দলটির প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান শিবরাজ সিং দাবি ঘোষণা দিয়েছিলেন, চার হাজার সদস্যের ‘রাজীব সেনা’ ঠেকাতে বিজেপি ৬৫ হাজার সদস্যের ‘সাইবার যোদ্ধা’ নামাচ্ছে! কংগ্রেসের মতো বিজেপিও হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। দাবি ইন্ডিয়া টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘আমরা হোয়াটসঅ্যাপে চালানো প্রচারণা দ্বিগুণ করে দেবো, যাতে সাধারণ মানুষ ও গ্রামবাসীর কাছে বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারি।’
ভারতের নির্বাচন পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার আগেও প্রবলভাবে হয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালাইটিক নামে পরিচিত যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিল। এ বছরের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানটির একজন সাবেক কর্মী ভেতর খবর ফাঁস করে দিলে সবার নজর পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সেবা গ্রহীতাদের তালিকায়। দেখা যায়, সে তালিকায় কংগ্রেস, বিজেপি, জনতা দলের মতো ভারতীয় রাজনৈতিক দলও রয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করতে তারাও কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকের মতো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়েছিল।