ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায় পুনর্গঠিত না হলে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না : বদিউল আলম মজুমদা আটক আ. লীগ নেতাকে র‍্যাবের গাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পোস্টের মতে প্যারিস আর বিশ্বের সেরা রোমান্টিক শহর নয়! দূর্নীতির অভিযোগে ফেসে যাচ্ছেন ফ্রান্সের তালহাসহ তিন রাষ্ট্রদূত প্যারিসে প্যারিফেরিকে গাড়ির গতি ঘন্টায় ৫০ কি.মি এ নামছে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ গনঅভ্যুথানের স্রোতে বিদায় স্বৈরশাসন

খালেদা মুক্তির দাবীতে কোটি ছাড়িয়েছে গণস্বাক্ষর

  • আপডেট সময় ১১:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

গত ১৭ ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষজনও স্বাক্ষর দিচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপি এক কোটির বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। চেয়ারপারসনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। নীতিনির্ধারকরা চাইছেন- দুই কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ হলে প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি এবং সরকারকে স্মারকলিপি আকারে তা দেয়া হবে। সেইসাথে বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বাক্ষরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরেও আনবে বিএনপি। বিদেশী দূতাবাস/হাইকমিশনেও দেয়া হতে পারে গণস্বাক্ষরের তালিকা।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক সারা পেয়েছি আমরা। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে সময়মতোই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১ মার্চ রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, লিফলেট বিতরণ ছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে থাকবে দেশজুড়ে ফের মানববন্ধন এবং মার্চের মাঝামাঝি ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ। ওই নেতা আরও জানান এরমধ্যে লিফলেট ছাপানো এবং তৃণমূলে তা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই নেতা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চের ৩ তারিখে ওয়ার্কার্স পাটির এবং ৭ মার্চ আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। সেজন্য পুলিশ বিএনপিকে আগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। ফলে তারা মার্চের মাঝামাঝিতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর তার মুক্তি দাবিতে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। এরমধ্যে ছিল দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর অভিযান, সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি ও ঢাকা মহানগর ছাড়া জেলা-মহানগরগুলোয় বিক্ষোভ সমাবেশ। প্রথমদিনে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরেও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক সাড়া মেলে। পরে ওই দিনই দলের মহাসচিবকে হাইকমান্ড এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। ফলে সারাদেশে বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দফতরের তথ্য মতে সারাদেশে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দলমত নির্বিশেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বাক্ষর করছেন। তাদের এই স্বাক্ষর গণতন্ত্রের নেত্রীর মুক্তির দাবিকে আরো বেগবান করবে।
দলটির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, সারাদেশে আমাদের দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি চলছে। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমরা এরইমধ্যে সারাদেশে এক কোটির বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পেরেছি। তাদেরকে স্বাক্ষর বই কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই তা দুই কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শেষে সেগুলো দলের হাইকমান্ড স্মারকলিপি আকারে সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে দিবেন।
ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও ব্যাপক আগ্রহ দেখছি আমরা। তারা ইমেইলের মাধ্যমে গণস্বাক্ষরের ফরম নিয়ে পূরণ করে আবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ অনলাইনে স্বাক্ষর করছেন। শুধু ঢাকা বিভাগে প্রায় ২০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে।
ঢাকা সহ সারাদেশে চলছে বিএনপির গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তাদের এই কর্মসূচী গণমানুষের নজর কেড়েছে। অনেকেই বেগম জিয়ার সাজা ও কারাবন্দী জীবনকে মানতে পারছেননা। নেতাকর্মীরা স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছে। নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে মানুষের অবিশ্বাস্য সারা দেখেছি। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দোকানদারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নিচ্ছেন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, তার এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ পরিবারের অনেক সদস্যও স্বাক্ষর করেছেন। এখন পর্যন্ত তার উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে। পুলিশ ও সরকারি লোকজনের হয়রানি উপেক্ষা করে তারা এলাকায় স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন।
দিনাজপুরের কাহারোল থানা বিএনপির নেতা মো: মেহেদী হাসান সুমন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর করছেন। তার থানায় এখন পর্যন্ত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তারা এক লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

খালেদা মুক্তির দাবীতে কোটি ছাড়িয়েছে গণস্বাক্ষর

আপডেট সময় ১১:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

গত ১৭ ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষজনও স্বাক্ষর দিচ্ছেন। গতকাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপি এক কোটির বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে। চেয়ারপারসনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। নীতিনির্ধারকরা চাইছেন- দুই কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ হলে প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি এবং সরকারকে স্মারকলিপি আকারে তা দেয়া হবে। সেইসাথে বিপুলসংখ্যক মানুষের স্বাক্ষরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরেও আনবে বিএনপি। বিদেশী দূতাবাস/হাইকমিশনেও দেয়া হতে পারে গণস্বাক্ষরের তালিকা।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক সারা পেয়েছি আমরা। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে সময়মতোই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। এদিকে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১ মার্চ রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির বক্তব্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, লিফলেট বিতরণ ছাড়াও কয়েকদিনের মধ্যে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে থাকবে দেশজুড়ে ফের মানববন্ধন এবং মার্চের মাঝামাঝি ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ। ওই নেতা আরও জানান এরমধ্যে লিফলেট ছাপানো এবং তৃণমূলে তা পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই নেতা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মার্চের ৩ তারিখে ওয়ার্কার্স পাটির এবং ৭ মার্চ আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। সেজন্য পুলিশ বিএনপিকে আগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। ফলে তারা মার্চের মাঝামাঝিতে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর তার মুক্তি দাবিতে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। এরমধ্যে ছিল দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর অভিযান, সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি ও ঢাকা মহানগর ছাড়া জেলা-মহানগরগুলোয় বিক্ষোভ সমাবেশ। প্রথমদিনে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরেও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যাপক সাড়া মেলে। পরে ওই দিনই দলের মহাসচিবকে হাইকমান্ড এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। ফলে সারাদেশে বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দফতরের তথ্য মতে সারাদেশে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দলমত নির্বিশেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বাক্ষর করছেন। তাদের এই স্বাক্ষর গণতন্ত্রের নেত্রীর মুক্তির দাবিকে আরো বেগবান করবে।
দলটির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু জানান, সারাদেশে আমাদের দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি চলছে। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমরা এরইমধ্যে সারাদেশে এক কোটির বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পেরেছি। তাদেরকে স্বাক্ষর বই কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই তা দুই কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শেষে সেগুলো দলের হাইকমান্ড স্মারকলিপি আকারে সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে দিবেন।
ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝেও ব্যাপক আগ্রহ দেখছি আমরা। তারা ইমেইলের মাধ্যমে গণস্বাক্ষরের ফরম নিয়ে পূরণ করে আবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ অনলাইনে স্বাক্ষর করছেন। শুধু ঢাকা বিভাগে প্রায় ২০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে।
ঢাকা সহ সারাদেশে চলছে বিএনপির গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তাদের এই কর্মসূচী গণমানুষের নজর কেড়েছে। অনেকেই বেগম জিয়ার সাজা ও কারাবন্দী জীবনকে মানতে পারছেননা। নেতাকর্মীরা স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছে। নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে মানুষের অবিশ্বাস্য সারা দেখেছি। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে দোকানদারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নিচ্ছেন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, তার এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগ পরিবারের অনেক সদস্যও স্বাক্ষর করেছেন। এখন পর্যন্ত তার উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে। পুলিশ ও সরকারি লোকজনের হয়রানি উপেক্ষা করে তারা এলাকায় স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন।
দিনাজপুরের কাহারোল থানা বিএনপির নেতা মো: মেহেদী হাসান সুমন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর করছেন। তার থানায় এখন পর্যন্ত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তারা এক লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন বলে জানান তিনি।