বছরের প্রথম তিন মাসের সংকুচিত অর্থনীতি পরবর্তী তিনমাসে প্রত্যাশার চেয়ে সফলভাবে পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে ফ্রান্স। সম্প্রতি সরকারের আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এতথ্য জানা গেছে। এজন্য রপ্তানি খাতের কৃতিত্ব সর্বাধিক। তবে শংকার বিষয়, এসময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৬.১ শতাংশ।
ফ্রান্সের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জাতীয় পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউট ইনসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ব্যাংক অব ফ্রান্স এবং ইনসি উভয়েই প্রথম তিন মাসের সংকুচনের পর পরবর্তী তিন মাসে তা ০.২০ থেকে ০.২৫ পর্যন্ত প্রসারিত হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও বাস্তবে তা ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফরাসী অর্থনীতির প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে রপ্তানি খাত। এসময় রপ্তানি বেড়েছে ০.৮০ ভাগ। একই সময়ে দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা ধরে রাখা যেমন সম্ভব হয়েছে তেমনি জীবন যাত্রার ব্যয়ের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হয়েছে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের উপর ভিত্তি করে ইনসি পূর্বাভাস দিচ্ছে, ২০২২ সালের পুরো সময় এধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ফ্রান্সের সামগ্রিক অর্থনীতি ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য এটা ব্যাংক অব ফ্রান্স ও আইএমএফের করা পূর্বাভাসের তুলনায় সামন্য বেশি। তারা ধারণা করছেন বছর শেষে ফ্রান্সের অর্থনীতি ২.৩ শতাংশ বাড়বে।
একই সময়ে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশেরও বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করার কথা। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক রিপোর্টে দেখা গেছে, বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের অর্থনীতি ০.৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকা করছেন কোন কোন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ।