ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মশকরা করার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন দেশটির সরকার। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ফ্রান্সে চলমান সহিংস হলুদ ভেস্ট আন্দোলন দেশটির জলবায়ু নীতির কারণে ঘটছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর টুইট বার্তায় ফ্রান্সে হলুদ ভেস্টের সহিংস আন্দোলন এবং আহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টির জন্য দেশটির জলবায়ু নীতিকে দোষারোপ করেছেন। তিনি মশকরা করে লিখেছেন, ‘ফ্রান্সের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কেমন প্রতিফলন রাখছে?’ এই প্রশ্ন লিখে তিনি আবার নিজেই উত্তর দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘অনুমান করছি খুব ভালো নয়, কারণ বিগত ১৮ মাস যাবৎ হলুদ ভেস্ট আন্দোলনকারীদের হাঙ্গামা চলছে।’ এ সময় নিজের জলবায়ু নীতির প্রশংসা করে ট্রাম্প লিখেছেন যে, সমস্ত পরিবেশগত পরিসংখান তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। এর আগেও ফ্রান্সের হলুদ ভেস্ট আন্দোলনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকবার মন্তব্য করেছেন। ওই সময়ও তিনি জলবায়ু নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান সঠিক বলে প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
এদিকে ফ্রান্স সরকারও এক টুইট বার্তায় তাদের দেশ নিয়ে ট্রাম্পের মশকরামূলক টুইট বার্তার জবাব দিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভস লে ড্রিয়ান বলেছেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমাদের দেশের বিষয়ে মন্তব্য করতে নিষেধ করছি। আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প বা ওই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতিকে জানাতে চাই, আমরা তাঁদের দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিতর্কে অংশগ্রহণ করি না। আর আমাদের জনগণ নিয়ে আমাদের মতো চলতে দিন।’
গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে প্রস্তাবিত জ্বালানি তেল ও পরিবেশ করের কারণে প্রতি সপ্তাহে হলুদ ভেস্ট আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এখন এই বিক্ষোভকরীরা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সরকারের নীতিমালা নিয়েও সমালোচনা করছেন। গত শনিবার হলুদ ভেস্ট আন্দোলনকারীরা প্যারিস শহরের কেন্দ্রস্থল অর্ক দ্য ট্রিউম বা বিজয় তোরণ সংলগ্ন শঁজেলিজে সড়কের দোকানপাটে হামলা ও লুটতরাজ চালায়। ওই ঘটনায় পুলিশ ২০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।