ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইরানের দাঁত ভাঙা জবাব” দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির পখত দ্য পারি সেন্ট ডেনিশে “বাংলা অটো ড্রাইভিং” স্কুলের ৭ম শাখা উদ্বোধন”

নবী মোহাম্মদের কটূক্তিকারীর সাজা যৌক্তিক: ইউরোপিয় মানবাধিকার আদালত

  • আপডেট সময় ০৬:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

ইসলামের নবী মোহাম্মদ (স:)-কে ‘শিশু যৌন নিপীড়নকারী’ বলায় অস্ট্রিয়ান এক নারীকে দেশটির স্থানীয় আদালত যে সাজা দিয়েছে, তা বহাল রেখেছে ইউরোপের মানবাধিকার আদালত। আদালত বলেছে, ওই মহিলাকে সাজা দিয়ে তার বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘণ করেনি অস্ট্রিয়ার আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস এর রায়ে আরও বলেছে, সাজা দেওয়ার সময় অস্ট্রিয়ার আদালত নিজেদের রায়ে ‘খুব সতর্কভাবেই ওই নারীর বাকস্বাধীনতা ও অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতি সুরক্ষিত রাখার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রেখেছে।’
সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী ২০০৯ সালে দুটি প্রকাশ্য সেমিনারে দাবি করেছিলেন, নবী মোহাম্মদ (স:)-এর সঙ্গে অল্পবয়সী এক মেয়ের বিয়ে ‘শিশু যৌন নির্যাতনে’র শামিল। ২০১১ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি আদালত তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় মতবাদকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে ৪৮০ ইউরো জরিমানা করে। ওই মহিলা এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের উচ্চ আদালতে আপিল করলেও পূর্বের রায় বহাল থাকে।
অগত্যা ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার আদালতে যান সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী। তার আপিলের প্রেক্ষিতেই মানবাধিকার আদালত বলেছে, অস্ট্রিয়ার আদালতের মূল সিদ্ধান্ত ধর্মীয় শান্তি অক্ষুন্ন রাখার যৌক্তিক উদ্দেশ্য বজায় রেখেছে।
৭ বিচারক বিশিষ্ট আদালত আরও বলেছে, ওই নারীর বক্তব্য ‘বস্তুনিষ্ঠ বিতর্কের অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘণ করেছে।’ এছাড়া এ ধরণের বক্তব্যের কারণে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমাজে ‘গোঁড়া বিশ্বাস’ জন্ম দিতে পারে এমনকি ধর্মীয় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
ওই নারীর বক্তব্য কেন বাকস্বাধীনতা দ্বারা সুরক্ষিত নয়, তার ব্যাখ্যায় আদালত আরও বলেছে, এ ধরণের বক্তব্য ‘মুসলিমদের মধ্যে যৌক্তিকভাবেই ক্রোধ জন্ম দিতে পারে।’ এছাড়া এসব কথা ‘তথ্যগত ভিত্তি ছাড়াই সাধারণীকরণের শামিল’।।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইরানের দাঁত ভাঙা জবাব”

নবী মোহাম্মদের কটূক্তিকারীর সাজা যৌক্তিক: ইউরোপিয় মানবাধিকার আদালত

আপডেট সময় ০৬:৫৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

ইসলামের নবী মোহাম্মদ (স:)-কে ‘শিশু যৌন নিপীড়নকারী’ বলায় অস্ট্রিয়ান এক নারীকে দেশটির স্থানীয় আদালত যে সাজা দিয়েছে, তা বহাল রেখেছে ইউরোপের মানবাধিকার আদালত। আদালত বলেছে, ওই মহিলাকে সাজা দিয়ে তার বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘণ করেনি অস্ট্রিয়ার আদালত। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস এর রায়ে আরও বলেছে, সাজা দেওয়ার সময় অস্ট্রিয়ার আদালত নিজেদের রায়ে ‘খুব সতর্কভাবেই ওই নারীর বাকস্বাধীনতা ও অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতি সুরক্ষিত রাখার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রেখেছে।’
সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী ২০০৯ সালে দুটি প্রকাশ্য সেমিনারে দাবি করেছিলেন, নবী মোহাম্মদ (স:)-এর সঙ্গে অল্পবয়সী এক মেয়ের বিয়ে ‘শিশু যৌন নির্যাতনে’র শামিল। ২০১১ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি আদালত তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় মতবাদকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে ৪৮০ ইউরো জরিমানা করে। ওই মহিলা এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের উচ্চ আদালতে আপিল করলেও পূর্বের রায় বহাল থাকে।
অগত্যা ইউরোপের সর্বোচ্চ মানবাধিকার আদালতে যান সাজাপ্রাপ্ত ওই নারী। তার আপিলের প্রেক্ষিতেই মানবাধিকার আদালত বলেছে, অস্ট্রিয়ার আদালতের মূল সিদ্ধান্ত ধর্মীয় শান্তি অক্ষুন্ন রাখার যৌক্তিক উদ্দেশ্য বজায় রেখেছে।
৭ বিচারক বিশিষ্ট আদালত আরও বলেছে, ওই নারীর বক্তব্য ‘বস্তুনিষ্ঠ বিতর্কের অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘণ করেছে।’ এছাড়া এ ধরণের বক্তব্যের কারণে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমাজে ‘গোঁড়া বিশ্বাস’ জন্ম দিতে পারে এমনকি ধর্মীয় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
ওই নারীর বক্তব্য কেন বাকস্বাধীনতা দ্বারা সুরক্ষিত নয়, তার ব্যাখ্যায় আদালত আরও বলেছে, এ ধরণের বক্তব্য ‘মুসলিমদের মধ্যে যৌক্তিকভাবেই ক্রোধ জন্ম দিতে পারে।’ এছাড়া এসব কথা ‘তথ্যগত ভিত্তি ছাড়াই সাধারণীকরণের শামিল’।।