ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

  • আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

পাঁচ সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি আইএফজে’র

আপডেট সময় ০৯:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

মে মাসের প্রথম ৫ দিনে বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫ সাংবাদিককে। সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে এসব সাংবাদিককে গ্রেপ্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস (আইএফজে)। একই সঙ্গে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেলজিয়ামভিত্তিক আইএফজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ফেসবুকের পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য মুয়াজ্জম হোসেন রতন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে নিজের বাসভবন থেকে ৫ই মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদারকে। তিনি হাওরাঞ্চলের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ও এসএটিভির জেলা প্রতিনিধি। ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, মাহতাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলায় ফেসবুকের পোস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই পোস্টের মাধ্যমে এমপি রতনের মানহানি হয়েছে। সরকারি অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে এই এমপিকে এ বছর শুরুর দিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসে একটি পত্রিকার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন পরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাহতাব উদ্দিনকে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে ১লা মে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দৈনিক গ্রামীণ দর্পণের বার্তা সম্পাদক রমজান আলী প্রামাণিক, স্টাফ রিপোর্টার শান্তা বণিক এবং নরসিংদী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক খন্দকার শাহিনকে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি কখনো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এর ফলে দাবি করা হয়, তারা যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা বানোয়াট। ঘোড়াশালে এক যুবককে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ নিয়ে ওই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

আইএফজে আরো বলেছে, ২০১৮ সাল থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে কমপক্ষে ১০০০ মামলা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে। তারা আরো বলেছে, ২০২০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারকে এই আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে বলে। বিতর্কিত এই আইনটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলার কড়া নিন্দা জানাই আমরা। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
ওদিকে আইএফজে বলেছে, গ্রেপ্তার করা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় আইএফজে। এর মধ্য দিয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে তারা। এ ছাড়া অনলাইন নিয়ন্ত্রণের যেকোনো প্রচেষ্টা, সাংবাদিকতাকে ক্রিমিনালাইজ করা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান আইএফজের। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধনের আহ্বান জানায় এ সংগঠন।