মামুন মাহিন,:শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে বড় এক পদক্ষেপ নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। আজ (৩ জুলাই) থেকে দেশটির সমুদ্র সৈকত, পার্ক, বাসস্টপ, স্কুলের আশপাশসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য শিশুদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা এবং ধূমপানকে সামাজিকভাবে ‘স্বাভাবিক’ আচরণ হিসেবে দেখা থেকে নিরুৎসাহিত করা।
নিষিদ্ধ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে—
সমুদ্র সৈকত
পার্ক ও পাবলিক গার্ডেন
বাসস্টপ
স্কুল, লাইব্রেরি, সুইমিং পুল
বিভিন্ন খেলাধুলার ভেন্যুর আশপাশ
এসব স্থানে ধূমপান করলে আইনভঙ্গকারীদের ১৩৫ ইউরো (প্রায় ১৫৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা গুণতে হবে।
তবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে না ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলোর খোলা টেরাস এবং ই-সিগারেট বা ভ্যাপিং। ফলে এসব জায়গায় এখনো ধূমপান ও ভ্যাপিং চালু থাকবে।
এই উদ্যোগ ২০২৩-২০২৭ সালের ফ্রান্সের জাতীয় অ্যান্টি-টোব্যাকো কর্মসূচির অংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফ্রান্সে প্রতি বছর প্রায় ৭৫,০০০ মানুষ ধূমপানজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক সিগারেটের নিকোটিন মাত্রা ও ফ্লেভার নিয়ন্ত্রণেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে তরুণদের মধ্যে ভ্যাপিংয়ের প্রবণতা হ্রাস পায়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি শুধু শিশু নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই দীর্ঘমেয়াদে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।