ডেস্কঃ ফ্রান্সে আসন্ন মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচনে বাংলাদেশী সন্তান নয়ন এনকে স্থানীয় একটি এলাকা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
– La France Insoumise (LFI) দলের হয়ে তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তিনি জানান যে, তার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করা নিশ্চিত। তবে তিনি চেষ্টা করছেন ডেপুটি মেয়র হিসেবে দলের মনোনয়ন লাভের।
নয়ন Vigneux sur seine শহরের দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন এবং সেখান থেকেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
২০১৮ সালে নয়ন এই দলে যোগদান করেন এবং তার কর্মদক্ষতা দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই Vigneux sur seine এর দায়িত্ব লাভ করেন।
ফ্রান্সের অনুষ্ঠিত আগের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে তার দলের প্রার্থী জন লুক মেলন্স ভোটপ্রাপ্তির দিক থেকে ৪র্থ অবস্থানে ছিলেন। La France Insoumise (LFI) দলটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজনীততে বেশ দ্রুত দলটি জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
মেধাবী, পরোপকারী, কমিউনিটিবান্ধব নয়ন কিয়াং এর সময়ানুবর্তিতা আর কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীলতা তাকে রাজনীতিতেও সাফল্য বয়ে আনছে।
বাংলাদেশ থেকে দশ বছর বয়সে ফ্রান্সে আসা নয়ন কিয়াং এখন ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। ফরাসী ভাষায় বলে ‘Enseignant’.
Université Paris Est Marne-la-Vallée ক্যাম্পাসের Management Department এর International Transport বিষয়ের ওপর তিনি পড়ান। গত বছরই মাস্টার্স শেষ করে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। অন্যদিকেও তার ব্যস্ততা রয়েছে। ফ্রান্সের সরকারী বিভিন্ন শাখায় যেমন, OFII, OFPRA, Prefecteur, Hopital প্রভৃতি স্থানে দোভাষী হিসেবে কাজ করেন।
নয়নরা তিন ভাই-বোন। তার বোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেন। ভাই Université d’EVRY থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে EROP নামে একটি প্রতিষ্ঠানে Concepteur Industriel হিসেবে কর্মরত আছেন।
মানিকগঞ্জের সন্তান নয়ন International Business Management এবং Conseil Etudes et Recherche এর ওপর ডাবল মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে।
নয়ন একজন পরোপকারী মানুষ। তিনি নিজেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দাড় করিয়েছেন ২০১৫ সালে। France Association of ChildEduc Bangladesh নামের এই সংস্থাটি ফরাসী সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের থেকে নিবন্ধনকৃত।
নয়ন ২০১৭ সালে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) এর সাথে যুক্ত হন। বিসিএফ ফ্রান্সের প্রধানতম সামাজিক সংগঠনগুলোর একটি যারা বাংলাদেশ কমিউনিটির নানা সমস্যা সমাধানে এবং কল্যাণে কাজ করছে। নয়ন এই সংগঠনেরই একজন সক্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিসিএফ এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার নয়ন বিসিএফ এর প্রশাসনিক দিকটি দেখভাল করেন।
ফ্রান্সে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ফরাসী মূলধারার রাজনীতে সংশ্লিষ্টতা তেমন নেই বললেই চলে। ইংল্যান্ড, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন বাংলাদেশীরা বেশ দাপটের সাথেই রাজনীতি করছে এবং সফল হচ্ছে। ফ্রান্সে তেমনটি দেখা যায় না। সেদিক থেকে নয়ন কিয়াং একটি উদাহরন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ কমিউনিটির আশাবাদ, নয়ন এই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।