৪৭ বছরে পা রাখলো জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই বছরেই বহরে যোগ হচ্ছে কমপক্ষে ৫টি উড়োজাহাজ। এরমধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজও।
১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারী শুরু হয় বিমানের যাত্রা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
নতুন বছরের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালে বিমান বহরে ২টি নতুন বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ যুক্ত হবে। পাশাপাশি নতুন গন্তব্যে বিমান তার ডানা প্রসারিত করবে। এ বছর চীনের বাণিজ্যিক নগরী গুয়াংজু, শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে।
বিমান বর্তমানে ১৫টি আন্তর্জাতিক ও ৭টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বিমানের বহরে রয়েছে ১৩টি উড়োজাহাজ। এরমধ্যে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ রয়েছে ৪টি, বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ রয়েছে ২টি, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ইআর ৪টি, ২টি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ ও ১টি এয়ারবাস-এ ৩৩০ উড়োজাহাজ।
২০০৮ সালে বিমান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির অধীনে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত ছিল। এরমধ্যে ৬টি বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি ৪টি ড্রিমলাইনারের ২টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হবে। পরের বছরেই যুক্ত হবে আরও দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। এছাড়া এই বছরেই যুক্ত হবে ৩টি ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে যাত্রীরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফিট উচ্চতায় ভ্রমণকালীন সময়েও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে থাকবে ফোনে কথা বলার সুবিধা। এ উড়োজাহাজে থাকছে বিশ্বমানের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম (আইএফই)। জ্বালানি সাশ্রয়ী ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে থাকছে ২৪ টিবিজনেস ক্লাস ও ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসসহ মোট ২৭১টি আসন।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জন সংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, ‘বিগত ৪৬ বছরে বিমান ৫কোটি ২৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বিমান নিট মুনাফা করেছে ৪৭ কোটি টাকা।’
দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে প্রবাসীদের লাশ বিনাখরচে বহন করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৬১ জন প্রবাসীর লাশ দেশে এনেছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আবুধাবি থেকে ২৯৭ জন, দোহা থেকে ৮জন, দাম্মাম থেকে ৯৩ জন, দুবাই থেকে ৬৯ জন, কুয়ালালামপুর থেকে ৬২ জন, জেদ্দা থেকে ৩২ জন, কুয়েত থেকে ৯১ জন, মাস্কাট থেকে ১৭৩ জন, রিয়াদ থেকে ৩১৬ জন প্রবাসীর লাশ দেশে এনেছে।
সর্বশেষ সংবাদ
বিমানের ৪৬ বছর পূর্তি, যুক্ত হচ্ছে ড্রিমলাইনার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ