পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের উৎসব-আনন্দের সাথে মিশে আছে রকমারি পিঠার স্বাদ। সুদূর প্রবাসে এসেও দেশীয় ঐতিহ্যের নানান স্বাদের পিঠা নিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বেলজিয়ামের বাণিজ্যিক নগরী এন্টরপেনে “বেলজিয়াম বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ক্লাবের” (বিবিএফসি) উদ্যোগে গত শনিবার স্থানীয় একটি হল রুমে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয় ।
জমকালো এ পিঠা উৎসবে বিভিন্ন স্বাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক পিঠার প্রাচুর্য দেখা যায়।
ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা, জিলাপি পিঠা, রসভরা পিঠা, পুলি পিঠা, নক্সি পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, ভালোবাসার পিঠাসহ হরেক রকমের মজাদার পিঠার মৌ মৌ সুবাসে চারদিক ভরপুর করে রাখে। সারি সারি পিঠার স্টল ছাড়াও উৎসবের শোভা বর্ধন করে দেশীয় শাড়ি, পাঞ্জাবি, হালিম ও চটপটিসহ বিভিন্ন স্টল।
পিঠার এ উৎসব ক্ষণিকের জন্য হলেও বাংলাদেশের শীতকালীন দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় প্রবাসীদের। শীতকালে গ্রামের বাড়িতে ভোর বেলার খেজুরের রসের সঙ্গে নানা রকম পিঠার স্বাদ ভোলার নয়। নস্টালজিক অনুভূতি কিছুটা হলেও বেলজিয়ামের বাঙালিরা অনুভব করেছেন ।
সংগঠনের সভাপতি রত্না খাঁন তমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নীলা নুসরাতের পরিচালনায়-
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসাইন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা- সাদ্দাম হোসাইন, মাহবুব এলাহি, সাজিদ খান, ইবান সিকদার, রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সহ ফ্রান্স, কানাডা, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড থেকে আগত প্রবাসীরা ।
বক্তব্য রাখেন: রোজিনা আক্তার (ইতি), দিলরুবা বেগম (মিলি), সুমি মাহবুব।
আগত অতিথিরা বলেন, এই ধরনের আয়োজনের ফলে পিঠার ঐতিহ্য টিকে আছে এবং প্রবাসেও ছড়িয়ে পড়ছে। আয়োজনটা একদিকে যেমন দেশের সেই পরিবারের আন্তরিকতার ছোঁয়া রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রবাসে বেড়ে উঠা প্রজন্মকে দেশীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে জানান দেয়ার মহৎ প্রয়াস।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
সংগঠনের সভাপতি রত্না খান তমা ও জয়েন্ট সেক্রেটারি ফারজানা আক্তার (রিমা) সহ সকল নেতৃবৃন্দ মনে করেন সকলের সহযোগিতায় বিদেশী ও আমাদের প্রজন্মের কাছে দেশীয় ঐতিহ্য পৌঁছে দিতে শুধু পিঠা উৎসবই নয়, আরো সুন্দর এবং বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হব।
এসময় তারা উপস্থিত সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পিঠা উৎসবের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সকলের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ।