ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

‘মন্ত্রিপরিষদে অভ্যুত্থান পরিকল্পনা’, তেরেসা মের বিপদসঙ্কেত!

  • আপডেট সময় ১০:০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজ দলেই বিদ্রোহের শিকার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে তার ওপর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে পর্দার আড়ালে। রাজপথে শনিবার প্রায় ১০ লাখ মানুষ ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ফলে তেরেসা মে এখন কোনপথে হাঁটবেন! তাকে নিজ দল কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক সিনিয়র নেতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেই তার ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমর্থন দেবেন তারা।

এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মন্ত্রীপরিষদের কিছু সদস্য যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন তাকে মন্ত্রপরিষদের অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করছে বৃটিশ বিভিন্ন গণমাধ্যম। বলা হচ্ছে, এমন অভ্যুত্থান বা পরিকল্পনার কারণে তেরেসা মের জন্য ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দিন ফুরিয়ে এসেছে। হয়তো আর কয়েকটা দিন তিনি সেখানে থাকতে পারেন। অর্থাৎ এর মধ্যেই তাকে পদ থেকে সরে যেতে হবে।

তাহলে কে তার হাল ধরবেন! হ্যাঁ, এমন ব্যক্তিও বাছাই করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তেরেসা মে’কে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সে পদে বসানো হবে ডেভিড লিডিংটন অথবা মাইকেল গভ’কে। এমন খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।

খবরে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকারের ভিতরেই অস্বাভাবিক উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে। এমন ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে ক্ষমতাচ্যুত করা হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্য সানডে টাইমসকে মন্ত্রিপরিষদের ১১ জন মন্ত্রী বলেছেন, তারা চান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। আর তাতে তার পদে নতুন কাউকে বসানোর পথ তৈরি হোক।
যদি তেরেসা মে পদ ছেড়ে দেন তাহলে অন্তর্বর্তী তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম করা হয়েছে তেরেসা মে’র ডেপুটি ডেভিড লিডিংটনের। তবে বেশ কিছু সদস্য এক্ষেত্রে মাইকেল গভ-এর প্রতি তাদের সমর্থন দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

তেরেসা মে’র নীতি বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা জর্জ ফ্রিম্যান এরই মধ্যে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সারাদেশে আপনি দেখতে পাবেন তার প্রতি শুধুই ক্ষোভ। সবাই মনে করছে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সরকার অচল হয়ে আছে। গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা ধসে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে পারে না। আমাদের এ অবস্থায় একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন, যিনি (ব্রেক্সিট ইস্যুতে) কাজ করতে পারবেন।

দ্য সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগান বলেছেন, তেরেসা মে’কে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের বলা উচিত যে, তার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে স্টিভ বেকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে চাওয়া নেতাদের এখনই কর্মকান্ড শুরু করা উচিত।
কনজার্ভেটিভ দলের ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে পরিচিত এমপি অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান লিখেছেন, আমাদের এখন এমন একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি আমাদের দেশের ওপর আস্থা রাখেন এবং তেরেসা মের বাকি কাজ এগিয়ে নিতে চান।

বাজফিড অনুযায়ী, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে তারই কয়েকজন হুইপ বৈঠককালে জানিয়ে দিয়েছেন তার পদ ছেড়ে দেয়া উচিত। তবে তেরেসা মে তার পদে অনড় থাকতেই পছন্দ করছেন। ওদিকে শনিবার প্রায় ১০ লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি ‘পিপলস ভোট’। তারা দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে এমন বিক্ষোভ করেন। ব্রেক্সিটপন্থি বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পূর্ব লন্ডন থেকে রাজধানীমুখী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। শনিবারের বিক্ষোভে সাবেক ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে বক্তব্য রেখেছেন বেশ কিছু স্থানে। এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেন
মানব জমিন থেকে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

‘মন্ত্রিপরিষদে অভ্যুত্থান পরিকল্পনা’, তেরেসা মের বিপদসঙ্কেত!

আপডেট সময় ১০:০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০১৯

নিজ দলেই বিদ্রোহের শিকার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে তার ওপর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে পর্দার আড়ালে। রাজপথে শনিবার প্রায় ১০ লাখ মানুষ ব্রেক্সিট ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ফলে তেরেসা মে এখন কোনপথে হাঁটবেন! তাকে নিজ দল কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক সিনিয়র নেতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেই তার ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমর্থন দেবেন তারা।

এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মন্ত্রীপরিষদের কিছু সদস্য যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন তাকে মন্ত্রপরিষদের অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করছে বৃটিশ বিভিন্ন গণমাধ্যম। বলা হচ্ছে, এমন অভ্যুত্থান বা পরিকল্পনার কারণে তেরেসা মের জন্য ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দিন ফুরিয়ে এসেছে। হয়তো আর কয়েকটা দিন তিনি সেখানে থাকতে পারেন। অর্থাৎ এর মধ্যেই তাকে পদ থেকে সরে যেতে হবে।

তাহলে কে তার হাল ধরবেন! হ্যাঁ, এমন ব্যক্তিও বাছাই করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তেরেসা মে’কে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সে পদে বসানো হবে ডেভিড লিডিংটন অথবা মাইকেল গভ’কে। এমন খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।

খবরে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকারের ভিতরেই অস্বাভাবিক উত্তেজনাকর অবস্থা বিরাজ করছে। এমন ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে ক্ষমতাচ্যুত করা হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্য সানডে টাইমসকে মন্ত্রিপরিষদের ১১ জন মন্ত্রী বলেছেন, তারা চান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। আর তাতে তার পদে নতুন কাউকে বসানোর পথ তৈরি হোক।
যদি তেরেসা মে পদ ছেড়ে দেন তাহলে অন্তর্বর্তী তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম করা হয়েছে তেরেসা মে’র ডেপুটি ডেভিড লিডিংটনের। তবে বেশ কিছু সদস্য এক্ষেত্রে মাইকেল গভ-এর প্রতি তাদের সমর্থন দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

তেরেসা মে’র নীতি বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা জর্জ ফ্রিম্যান এরই মধ্যে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সারাদেশে আপনি দেখতে পাবেন তার প্রতি শুধুই ক্ষোভ। সবাই মনে করছে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সরকার অচল হয়ে আছে। গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা ধসে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে পারে না। আমাদের এ অবস্থায় একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন, যিনি (ব্রেক্সিট ইস্যুতে) কাজ করতে পারবেন।

দ্য সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগান বলেছেন, তেরেসা মে’কে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের বলা উচিত যে, তার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে স্টিভ বেকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে চাওয়া নেতাদের এখনই কর্মকান্ড শুরু করা উচিত।
কনজার্ভেটিভ দলের ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে পরিচিত এমপি অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান লিখেছেন, আমাদের এখন এমন একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি আমাদের দেশের ওপর আস্থা রাখেন এবং তেরেসা মের বাকি কাজ এগিয়ে নিতে চান।

বাজফিড অনুযায়ী, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে তারই কয়েকজন হুইপ বৈঠককালে জানিয়ে দিয়েছেন তার পদ ছেড়ে দেয়া উচিত। তবে তেরেসা মে তার পদে অনড় থাকতেই পছন্দ করছেন। ওদিকে শনিবার প্রায় ১০ লাখ মানুষ লন্ডনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি ‘পিপলস ভোট’। তারা দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে এমন বিক্ষোভ করেন। ব্রেক্সিটপন্থি বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পূর্ব লন্ডন থেকে রাজধানীমুখী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। শনিবারের বিক্ষোভে সাবেক ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজে বক্তব্য রেখেছেন বেশ কিছু স্থানে। এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেন
মানব জমিন থেকে