ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির পখত দ্য পারি সেন্ট ডেনিশে “বাংলা অটো ড্রাইভিং” স্কুলের ৭ম শাখা উদ্বোধন” ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের আমাদের কথা’র সংবর্ধনা

মহামারীতেও প্রবাসী রেমিট্যান্স বেড়েছে

  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। আগের দুই মাসের নিম্নমুখী ধারা থেকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে লকডাউনের মধ্যে থেকেও প্রবাসীরা এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দুই লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরলেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ সে অর্থে কমেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা ঈদকেন্দ্রিক সব সময় অর্থ বেশি পাঠান। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। ’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চলতি মে মাসে প্রথম ১৪ দিনে ৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের মাস এপ্রিলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। প্রতিবছরই ঈদের আগে রেমিট্যান্সে গতি আসে। গত বছর রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। ওই বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার। এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৬৩ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসে কমা শুরু করে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ডলার। যদিও আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করলেও মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধাক্কা খায়। এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে যা ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু চলতি মে মাসে সে চিত্র উল্টে গিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে রেমিট্যান্সের প্রবাহমে মাসে প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে তা ৮০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ১৪ মে বৃহস্পতিবার এক দিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৪ মে পর্যন্ত এসেছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে গতকাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। যদিও সবাই ধারণা করছিল রপ্তানির মতো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের প্রণোদনা সুবিধার ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। ১২ মে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দেয়, প্রণোদনা পেতে ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের ওপর কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে না। একই সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থের বেশি পাঠালে কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৫ দিনের পরিবর্তে দুই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে সংকট। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও লকডাউনের কারণে অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে ধারণা করা হয়, রেমিট্যান্সের পরিমাণ খুবই কমে যাবে। তবে তা হয়নি। ঈদ সামনে রেখে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় সুখবর। রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনার শর্ত শিথিল করার প্রভাব রয়েছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি। ’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন

মহামারীতেও প্রবাসী রেমিট্যান্স বেড়েছে

আপডেট সময় ১১:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। আগের দুই মাসের নিম্নমুখী ধারা থেকে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে লকডাউনের মধ্যে থেকেও প্রবাসীরা এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দুই লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরলেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ সে অর্থে কমেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা ঈদকেন্দ্রিক সব সময় অর্থ বেশি পাঠান। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। ’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চলতি মে মাসে প্রথম ১৪ দিনে ৮০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের মাস এপ্রিলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। প্রতিবছরই ঈদের আগে রেমিট্যান্সে গতি আসে। গত বছর রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা আগের বছরের মার্চ মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। ওই বছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ডলার। এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৬৩ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসে কমা শুরু করে। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ডলার। যদিও আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ডলার বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে শুরু করলেও মার্চ ও এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধাক্কা খায়। এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে, গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে যা ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু চলতি মে মাসে সে চিত্র উল্টে গিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে রেমিট্যান্সের প্রবাহমে মাসে প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে তা ৮০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। ১৪ মে বৃহস্পতিবার এক দিনেই আসে ১১ কোটি ২০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ১ হাজার ৩৩০ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৪ মে পর্যন্ত এসেছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে গতকাল পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। যদিও সবাই ধারণা করছিল রপ্তানির মতো প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের প্রণোদনা সুবিধার ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করে। ১২ মে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দেয়, প্রণোদনা পেতে ৫ হাজার ডলার অথবা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের ওপর কোনো কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে না। একই সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থের বেশি পাঠালে কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৫ দিনের পরিবর্তে দুই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর ফলে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে সংকট। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও লকডাউনের কারণে অনেক কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে ধারণা করা হয়, রেমিট্যান্সের পরিমাণ খুবই কমে যাবে। তবে তা হয়নি। ঈদ সামনে রেখে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এটা আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় সুখবর। রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনার শর্ত শিথিল করার প্রভাব রয়েছে। ঈদের আগে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি। ’