ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

ম্যারাডোনার হৃদয়জুড়ে ফিলিস্তিন

  • আপডেট সময় ০১:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব ফুটবল জগতের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন তিনি বারবার। বিতর্কিত কিংবা তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক মন্তব্য করে কখনও হয়েছেন আলোচিত, কখনও আবার সমালোচিত। রাজনৈতিক বিশ্বাসে সমাজতন্ত্রী ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনা বরাবরই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার পক্ষে সরব। ইন্সটাগ্রামে সম্প্রতি সেখানকার নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে তোলা এক ছবি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তার হৃদয়জুড়ে রয়েছে ফিলিস্তিন।
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে রাশিয়ায় অবস্থান করছিলেন ম্যারাডোনা। রবিবার (১৫ জুলাই) মস্কোতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। এ ফুটবল কিংবদন্তির ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মাহমুদ আব্বাস ও তার সাক্ষাতের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তাদের কোলাকুলি করতে দেখা যায়। ছবির সঙ্গে দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘এই মানুষটি ফিলিস্তিনের শান্তি চায়। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের একটি দেশ রয়েছে ও তার অধিকারও রয়েছে।’ ম্যারাডোনা আরও বলেন, ‘ইন মাই হার্ট, আই অ্যাম প্যালেস্টিনিয়ান (আমি মনেপ্রাণে একজন ফিলিস্তিনি)’।

মাহমুদ আব্বাস ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে একটি পেইন্টিং উপহার দেন। সেখানে দেখা যায়, শান্তির প্রতীক কবুতর ফিলিস্তিনের জলপাই গাছের ডালে বসে আছে।

ফিলিস্তিনের প্রতি ম্যারাডোনার এ সমর্থন এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে দুবাইতে সাংবাদিকদের ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনের প্রথম কাতারের সমর্থক। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরুর পর থেকে আমি এ জাতির মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করি।’ ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েল যা করছে তা লজ্জাজনক। ওই বছরের শেষের দিকে শোনা গিয়েছিল এ আর্জেন্টাইন তারকা ফিলিস্তিন ফুটবল টিমের সঙ্গে কোচ হিসেবে যোগ দিবেন। যদিও পরবর্তীতে তা আর হয়নি।

এক বছর আগে এক ভক্তের অনুরোধে ম্যারাডোনাকে মাথায় কাফিয়েহ পরা অবস্থায় (মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী কাপড়, যা মাথায় পরা হয়) দেখা গেছে। ওই অনুষ্ঠানে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’। কেবল ফিলিস্তিন প্রশ্নে নয়, নিপীড়িতের পক্ষে ও ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে তাকে বহুবার সরব হতে দেখা গেছে। মার্কিন সাম্রাজ্য-বাসনার বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই সরব। ২০০৫ সালে ইরাক যুদ্ধের হোতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আর্জেন্টিনা সফরকালে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে বুশ একজন খুনি। আর্জেন্টিনার মাটিতে তার বিরুদ্ধে যে মিছিল হবে, আমি সেটায় নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। এর আগে একবার টেলিভিশনে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করেন।
লাতিন সমাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রনায়কদের অনেকেই ম্যারাডোনার কাছের বন্ধু। তিনি একবার লিখেছিলেন, ‘আমি চ্যাভেজকে পছন্দ করি। আমি একজন চ্যাভেজিয়ান। ফিদেল যা করেছেন, চ্যাভেজ যা করছেন, তার সবকিছুই শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে পড়ে।’ তার শরীরে মাঝে মাঝেই লাতিন বিপ্লবী চে গুয়েভারা আর ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ট্যাটু দেখা যায়। আরেক মার্কিনবিরোধী নেতা সাবেক ইরানি প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের সঙ্গেও সখ্য রয়েছে ম্যারাডোনার।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

ম্যারাডোনার হৃদয়জুড়ে ফিলিস্তিন

আপডেট সময় ০১:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮

নিজস্ব ফুটবল জগতের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন তিনি বারবার। বিতর্কিত কিংবা তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক মন্তব্য করে কখনও হয়েছেন আলোচিত, কখনও আবার সমালোচিত। রাজনৈতিক বিশ্বাসে সমাজতন্ত্রী ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনা বরাবরই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার পক্ষে সরব। ইন্সটাগ্রামে সম্প্রতি সেখানকার নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে তোলা এক ছবি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তার হৃদয়জুড়ে রয়েছে ফিলিস্তিন।
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে রাশিয়ায় অবস্থান করছিলেন ম্যারাডোনা। রবিবার (১৫ জুলাই) মস্কোতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সংক্ষিপ্ত ওই বৈঠকে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। এ ফুটবল কিংবদন্তির ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মাহমুদ আব্বাস ও তার সাক্ষাতের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তাদের কোলাকুলি করতে দেখা যায়। ছবির সঙ্গে দেয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘এই মানুষটি ফিলিস্তিনের শান্তি চায়। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের একটি দেশ রয়েছে ও তার অধিকারও রয়েছে।’ ম্যারাডোনা আরও বলেন, ‘ইন মাই হার্ট, আই অ্যাম প্যালেস্টিনিয়ান (আমি মনেপ্রাণে একজন ফিলিস্তিনি)’।

মাহমুদ আব্বাস ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে একটি পেইন্টিং উপহার দেন। সেখানে দেখা যায়, শান্তির প্রতীক কবুতর ফিলিস্তিনের জলপাই গাছের ডালে বসে আছে।

ফিলিস্তিনের প্রতি ম্যারাডোনার এ সমর্থন এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে দুবাইতে সাংবাদিকদের ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমি ফিলিস্তিনের প্রথম কাতারের সমর্থক। আমি তাদের শ্রদ্ধা করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরুর পর থেকে আমি এ জাতির মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন করি।’ ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েল যা করছে তা লজ্জাজনক। ওই বছরের শেষের দিকে শোনা গিয়েছিল এ আর্জেন্টাইন তারকা ফিলিস্তিন ফুটবল টিমের সঙ্গে কোচ হিসেবে যোগ দিবেন। যদিও পরবর্তীতে তা আর হয়নি।

এক বছর আগে এক ভক্তের অনুরোধে ম্যারাডোনাকে মাথায় কাফিয়েহ পরা অবস্থায় (মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী কাপড়, যা মাথায় পরা হয়) দেখা গেছে। ওই অনুষ্ঠানে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’। কেবল ফিলিস্তিন প্রশ্নে নয়, নিপীড়িতের পক্ষে ও ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে তাকে বহুবার সরব হতে দেখা গেছে। মার্কিন সাম্রাজ্য-বাসনার বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই সরব। ২০০৫ সালে ইরাক যুদ্ধের হোতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আর্জেন্টিনা সফরকালে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে বুশ একজন খুনি। আর্জেন্টিনার মাটিতে তার বিরুদ্ধে যে মিছিল হবে, আমি সেটায় নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। এর আগে একবার টেলিভিশনে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করেন।
লাতিন সমাজতন্ত্রপন্থী রাষ্ট্রনায়কদের অনেকেই ম্যারাডোনার কাছের বন্ধু। তিনি একবার লিখেছিলেন, ‘আমি চ্যাভেজকে পছন্দ করি। আমি একজন চ্যাভেজিয়ান। ফিদেল যা করেছেন, চ্যাভেজ যা করছেন, তার সবকিছুই শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে পড়ে।’ তার শরীরে মাঝে মাঝেই লাতিন বিপ্লবী চে গুয়েভারা আর ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ট্যাটু দেখা যায়। আরেক মার্কিনবিরোধী নেতা সাবেক ইরানি প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের সঙ্গেও সখ্য রয়েছে ম্যারাডোনার।