ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ বালাগঞ্জে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যেগে মানববন্ধন প্যারিসে খিয়াং নয়ন রচিত মোটিভেশনাল বিষয়ক ‘Impression de vie’ জীবনের ছাপ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে- নবাগত ওসি নির্মল দেব এর মতবিনিময় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামে প্যারিসে রাস্তার নামকরণ: একটি গৌরবময় মুহূর্ত বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের তুলুজে বিশাল সমাবেশ প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরজুড়ে বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ বালাগঞ্জের হাফিজ মাওলানা সামসুল ইসলাম লন্ডনের university of central Lancashire থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করলেন বালাগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী রফিক আহমদ এর মতবিনিময়

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করবে : ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ১১:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে ফ্রান্স। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লা দ্রিয়াঁ বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ সৃষ্টির নীতি নিয়েছে ওয়াশিংটন। এই নীতি মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। বুধবার ফ্রান্সের ইন্টার রেডিও’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইরানবিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংলাপকে হয়তো বিনষ্ট করবে না, কিন্তু আলোচনা দুর্বল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে ফেলে দেবে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের ফলে ইরানে রক্ষণশীলরা আরও শক্তিশালী হবে। বিপরীতে আলোচনার পক্ষপাতী বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুর্বল হয়ে পড়বেন।

এর আগে গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তেহরানের বিরুদ্ধে ইতিহাসের কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ওয়াশিংটনে এক ভাষণে তিনি ইরানকে ১২ টি শর্ত বেঁধে দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন। পম্পেও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পর নিজেদের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাবে ইরান। এর দুই দিনের মাথায় ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ জাতিগোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে সমঝোতা ক্ষুণ্নের অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে চুক্তি কার্যকর রাখতে প্রতি তিন মাস পরপর দেশটির প্রেসিডেন্টের সম্মতি দরকার। ১২ মে পরবর্তী তিন মাসের জন্য এই চুক্তিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সমঝোতা ভেস্তে গেছে।

সোমবার ইরানকে রুখতে মার্কিন পরিকল্পনা ঘোষণা সময়ে পম্পেও বলেন ইরানের ‘আগ্রাসন’ রুখতে পেন্টাগন ও আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তিনি ইরানকে ১২টি শর্ত বেঁধে দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সিরিয়া থেকে সব সেনা প্রত্যাহার ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক আণবিক বিদ্যুৎ সংস্থাকে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষার বিস্তারিত জানানো ও এই পরীক্ষা বন্ধ করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি হুমকিস্বরুপ আচরণ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলকে ধ্বংস করা, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিসাইল হামলার হুমকি বন্ধ করা এবং আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়ার দেশগুলোর সহায়তা দরকার। কারণ এসব দেশের সঙ্গেই ইরানের বাণিজ্য সম্পর্ক বেশি। এসব দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্য অপেক্ষাকৃত কম। সূত্র: ইয়েনি সাফাক।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

কাজের আওতায় অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বৈধতার শর্ত শিথিল করল স্পেন

যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করবে : ফ্রান্স

আপডেট সময় ১১:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে ফ্রান্স। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লা দ্রিয়াঁ বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও চাপ সৃষ্টির নীতি নিয়েছে ওয়াশিংটন। এই নীতি মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। বুধবার ফ্রান্সের ইন্টার রেডিও’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইরানবিরোধী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংলাপকে হয়তো বিনষ্ট করবে না, কিন্তু আলোচনা দুর্বল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে ফেলে দেবে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের ফলে ইরানে রক্ষণশীলরা আরও শক্তিশালী হবে। বিপরীতে আলোচনার পক্ষপাতী বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুর্বল হয়ে পড়বেন।

এর আগে গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তেহরানের বিরুদ্ধে ইতিহাসের কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ওয়াশিংটনে এক ভাষণে তিনি ইরানকে ১২ টি শর্ত বেঁধে দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন। পম্পেও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পর নিজেদের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাবে ইরান। এর দুই দিনের মাথায় ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ জাতিগোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে সমঝোতা ক্ষুণ্নের অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে চুক্তি কার্যকর রাখতে প্রতি তিন মাস পরপর দেশটির প্রেসিডেন্টের সম্মতি দরকার। ১২ মে পরবর্তী তিন মাসের জন্য এই চুক্তিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সমঝোতা ভেস্তে গেছে।

সোমবার ইরানকে রুখতে মার্কিন পরিকল্পনা ঘোষণা সময়ে পম্পেও বলেন ইরানের ‘আগ্রাসন’ রুখতে পেন্টাগন ও আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তিনি ইরানকে ১২টি শর্ত বেঁধে দেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সিরিয়া থেকে সব সেনা প্রত্যাহার ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক আণবিক বিদ্যুৎ সংস্থাকে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষার বিস্তারিত জানানো ও এই পরীক্ষা বন্ধ করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি হুমকিস্বরুপ আচরণ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলকে ধ্বংস করা, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিসাইল হামলার হুমকি বন্ধ করা এবং আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়ার দেশগুলোর সহায়তা দরকার। কারণ এসব দেশের সঙ্গেই ইরানের বাণিজ্য সম্পর্ক বেশি। এসব দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্য অপেক্ষাকৃত কম। সূত্র: ইয়েনি সাফাক।