ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বৃটেনে সাফল্যের আলো ছড়ালেন বাংলাদেশি তরুণী তাহমিনা আহমদ পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয়

রেমিটেন্সে নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় ১১:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা এক মাসের হিসেবে রেকর্ড।

এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রেমিটেন্স সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।

রেমিটেন্সের এই অংক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০৮ কোটি ১৩ লাখ (প্রায় ৯.০৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৮৩১ কোটি ২০ লাখ (৮.৩১ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিটেন্সে সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল।

গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।

রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়াতে মার্কিন ডলার-টাকার বিনিময় হার ৮৫ টাকা করার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ভারত, চীন, ভিয়েতনামসহ অনেক দেশ মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করেছে। বাংলাদেশেও হয়েছে; তবে এ দেশগুলোর তুলনায় খুবই কম।

তথ্য দিয়ে এই গবেষক বলেন, গত ছয় মাসে ভারতীয় মুদ্রা রূপির বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ মাত্র।

“রপ্তানি আয় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়াতে খুব শিগগিরই ডলালের দর ৮৫ টাকায় ‘স্থির’ করে দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।”

তিনি বলেন, আন্ত:ব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা হলেও ব্যাংকগুলো ৮৫ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছে। আমার বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্ত:ব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দরই ৮৫ টাকা বেধে দেয়া উচিৎ।

এদিকে রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

রোববার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নীচে নামেনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বৃটেনে সাফল্যের আলো ছড়ালেন বাংলাদেশি তরুণী তাহমিনা আহমদ

রেমিটেন্সে নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা এক মাসের হিসেবে রেকর্ড।

এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) রেমিটেন্স সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০১৯ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে।

রেমিটেন্সের এই অংক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ৯০৮ কোটি ১৩ লাখ (প্রায় ৯.০৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৮৩১ কোটি ২০ লাখ (৮.৩১ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিটেন্সে সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল।

গত বছরে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫.৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।

রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়াতে মার্কিন ডলার-টাকার বিনিময় হার ৮৫ টাকা করার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ভারত, চীন, ভিয়েতনামসহ অনেক দেশ মার্কিন ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন করেছে। বাংলাদেশেও হয়েছে; তবে এ দেশগুলোর তুলনায় খুবই কম।

তথ্য দিয়ে এই গবেষক বলেন, গত ছয় মাসে ভারতীয় মুদ্রা রূপির বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশী মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ মাত্র।

“রপ্তানি আয় এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়াতে খুব শিগগিরই ডলালের দর ৮৫ টাকায় ‘স্থির’ করে দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।”

তিনি বলেন, আন্ত:ব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা হলেও ব্যাংকগুলো ৮৫ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছে। আমার বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্ত:ব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দরই ৮৫ টাকা বেধে দেয়া উচিৎ।

এদিকে রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।

রোববার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের নীচে নামেনি।