ঢাকা ০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায় পুনর্গঠিত না হলে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না : বদিউল আলম মজুমদা আটক আ. লীগ নেতাকে র‍্যাবের গাড়ি থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পোস্টের মতে প্যারিস আর বিশ্বের সেরা রোমান্টিক শহর নয়! দূর্নীতির অভিযোগে ফেসে যাচ্ছেন ফ্রান্সের তালহাসহ তিন রাষ্ট্রদূত প্যারিসে প্যারিফেরিকে গাড়ির গতি ঘন্টায় ৫০ কি.মি এ নামছে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ গনঅভ্যুথানের স্রোতে বিদায় স্বৈরশাসন ন্যাশন্স লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে নামছে ফ্রান্স

শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ

  • আপডেট সময় ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

লণ্ডন, ২২ জুলাই- কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন শুদ্ধচারী মরমি কবি ও চিন্তক আহমেদ ময়েজ। সম্প্রতি ‘রক্তই মেটাবে রক্তের দাম’ শিরোনামে নিজের ফেইসবুক পেইজে বিলেতের প্রধান কবি লিখেছেন, কবিতা কেউ লিখছে না। তরুণরাই রাজপথে কবিতা রচনা করছে।

বলছে—

“বুকের ভেতর দারুণ ঝড়

বুক পেতেছি গুলি কর”

এই রাজপথে কোনো কবির কবিতা বেজে ওঠেনি। ক্রান্তিকালের কাণ্ডারী একমাত্র নজরুল। সময়ই বলে দিচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জন্য কতোটা অনিবার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠছে— “কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট”। এর রণ হুঙ্কারে অত্যাচারীর ভিত কাঁপছে। আমরা তাদের হাটুর থর থর কম্পন দেখতে পাচ্ছি। তবে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি সরকার কমবেশি হয়েছে। প্রত্যেকবারই কৌশলে/ ধূর্তামীর মাধ্যমে কিংবা জোরপূর্বক সব কিছু সামাল দিয়েছে। এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। প্রতিপক্ষকে রাজাকার তকমা দিয়েও পার পাচ্ছে না। উল্টো সরকার পক্ষকেই রাজাকারী নেকাবে আবৃত করে দিয়েছে তারা। নতুন স্লোগানে বলছে—

“আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার

কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার”।

মাফিয়া পক্ষ শেষের চরণটি গায়েব করে দিয়ে জোরেসোরে প্রচার করছে, “আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার”। এটাই তাদের কাজ। অন্যের বক্তব্যকে বিকৃত করা। ট্যাগের রাজনীতি একদিন অচল হবে। প্রকৃত সত্যের জয় হবে।

এখন এই কোটাবিরোধী আন্দোলন কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যেখান থেকে অন্যায়, বৈষম্য ও দুর্নীতির বীজ উদগিরণ হয় ছাত্রজনতা এখন সেই বীজের মূলোৎপাটন চায়। ছাত্ররা যখন সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, হ্যালমেটবাহিনী, পুলিশ, বিজিপি দ্বারা আক্রান্ত এবং নির্বিচারে তাদের গুলি করে হত্যা করছে তখনই তারা সর্বস্তরের জনগণকে আহবান জানিয়েছে এই সংগ্রামে অংশ নিতে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। এমনকি যোগ দিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শ্রমজীবীরা। এখনো যারা কৌশলে ও বুদ্ধি করে কথা বলছেন তারা জনতার ভাষা বুঝতে অপারগ। হতে পারে আবারও মাফিয়াচক্রের কূটকৌশলে জনতা হেরে যাবে। এর অর্থ এ নয় যে তাদের আন্দোলন অনৈতিক ছিলো। এর অর্থ এও নয় তারা ভুল পথে ছিলো। জিতলেই যেমন সত্য হয় না, আবার হারলেও মিথ্যা হয়ে যায় না।

এক দাম্ভিকতার পতন হলেই সত্যের উজ্জ্বলতা সবাই দেখতে পাবে। হয়তো একদিন রক্তই মেটাবে রক্তের দাম।

শহীদ আবু সাঈদের হাতে ছিলো একটি লাঠি। এবং সেটা হাতে নিয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো সে। এটি একটি প্রতীকী লাঠি। সত্যের মানদণ্ড। অন্ধের যষ্ঠি। অন্ধকারে ডুবে যাওয়া একটি জাতিকে সে পথ দেখিয়েছে। একই পথে শতাধিক শহীদ বুক পেতে দিয়েছেন। শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম। সময় সহায় হোক।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা

শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন বিলেতের প্রধান কবি আহমেদ ময়েজ

আপডেট সময় ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

লণ্ডন, ২২ জুলাই- কোটাবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম জানালেন শুদ্ধচারী মরমি কবি ও চিন্তক আহমেদ ময়েজ। সম্প্রতি ‘রক্তই মেটাবে রক্তের দাম’ শিরোনামে নিজের ফেইসবুক পেইজে বিলেতের প্রধান কবি লিখেছেন, কবিতা কেউ লিখছে না। তরুণরাই রাজপথে কবিতা রচনা করছে।

বলছে—

“বুকের ভেতর দারুণ ঝড়

বুক পেতেছি গুলি কর”

এই রাজপথে কোনো কবির কবিতা বেজে ওঠেনি। ক্রান্তিকালের কাণ্ডারী একমাত্র নজরুল। সময়ই বলে দিচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জন্য কতোটা অনিবার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠছে— “কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট”। এর রণ হুঙ্কারে অত্যাচারীর ভিত কাঁপছে। আমরা তাদের হাটুর থর থর কম্পন দেখতে পাচ্ছি। তবে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি সরকার কমবেশি হয়েছে। প্রত্যেকবারই কৌশলে/ ধূর্তামীর মাধ্যমে কিংবা জোরপূর্বক সব কিছু সামাল দিয়েছে। এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। প্রতিপক্ষকে রাজাকার তকমা দিয়েও পার পাচ্ছে না। উল্টো সরকার পক্ষকেই রাজাকারী নেকাবে আবৃত করে দিয়েছে তারা। নতুন স্লোগানে বলছে—

“আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার

কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার”।

মাফিয়া পক্ষ শেষের চরণটি গায়েব করে দিয়ে জোরেসোরে প্রচার করছে, “আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার”। এটাই তাদের কাজ। অন্যের বক্তব্যকে বিকৃত করা। ট্যাগের রাজনীতি একদিন অচল হবে। প্রকৃত সত্যের জয় হবে।

এখন এই কোটাবিরোধী আন্দোলন কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। যেখান থেকে অন্যায়, বৈষম্য ও দুর্নীতির বীজ উদগিরণ হয় ছাত্রজনতা এখন সেই বীজের মূলোৎপাটন চায়। ছাত্ররা যখন সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, হ্যালমেটবাহিনী, পুলিশ, বিজিপি দ্বারা আক্রান্ত এবং নির্বিচারে তাদের গুলি করে হত্যা করছে তখনই তারা সর্বস্তরের জনগণকে আহবান জানিয়েছে এই সংগ্রামে অংশ নিতে। তাদের আহবানে সাড়া দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। এমনকি যোগ দিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শ্রমজীবীরা। এখনো যারা কৌশলে ও বুদ্ধি করে কথা বলছেন তারা জনতার ভাষা বুঝতে অপারগ। হতে পারে আবারও মাফিয়াচক্রের কূটকৌশলে জনতা হেরে যাবে। এর অর্থ এ নয় যে তাদের আন্দোলন অনৈতিক ছিলো। এর অর্থ এও নয় তারা ভুল পথে ছিলো। জিতলেই যেমন সত্য হয় না, আবার হারলেও মিথ্যা হয়ে যায় না।

এক দাম্ভিকতার পতন হলেই সত্যের উজ্জ্বলতা সবাই দেখতে পাবে। হয়তো একদিন রক্তই মেটাবে রক্তের দাম।

শহীদ আবু সাঈদের হাতে ছিলো একটি লাঠি। এবং সেটা হাতে নিয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো সে। এটি একটি প্রতীকী লাঠি। সত্যের মানদণ্ড। অন্ধের যষ্ঠি। অন্ধকারে ডুবে যাওয়া একটি জাতিকে সে পথ দেখিয়েছে। একই পথে শতাধিক শহীদ বুক পেতে দিয়েছেন। শহীদ আবু সাঈদসহ সবার প্রতি সালাম। সময় সহায় হোক।