ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য ফরাসি ভাষা ও নাগরিক শিক্ষা পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পর্তুগাল-বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে আনন্দ ভ্রমণ কারাদণ্ড কার্যকরের আগে এলিসি প্রাসাদে পূর্বসূরি সারকোজিকে আমন্ত্রণ জানালেন ম্যাক্রোঁ লুভর জাদুঘরে দুঃসাহসিক ডাকাতি: ফ্রান্সে দোষারোপের রাজনীতি তুঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ল্যুভর জাদুঘরে চুরি ফ্রান্সে “আশা এবং আমার সংগ্রাম” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান বিগত ১১৭ বছরের সব দলিল অনলাইনে যাচ্ছে, ভূমি মালিকদের করণীয় তরুণদের বিদেশমুখিতা: সুযোগ না সংকট? ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য এক সতর্কবার্তা”

সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে ‘আবায়া’ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স

  • আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ৫৫১ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী। খবর এএফপির।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, শিক্ষায় কঠোরভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবহার করে ফ্রান্স। কিন্তু এই পোশাকটি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে।

টিএফ১ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, স্কুলে আর আবায়া পরা সম্ভব হবে না। এ জন্য তিনি দেশজুড়ে স্কুলগুলোর প্রধানদের কাছে এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সেখানে ছুটি শেষ হয়ে স্কুল শুরু হচ্ছে। তার আগেই প্রধান শিক্ষকদের এই বার্তা দিলেন গাব্রিয়েল আত্তাল।

ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস অথবা মুসলিমদের স্কার্ফ পরায় অনুমতি দেয় না। সরকারি স্কুলগুলোতে ১৯ শতক থেকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রশাসনের সময় আরও কঠোর।

২০০৪ সালে দেশটির স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরায় নিষিদ্ধ হয়েছিল এবং ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকা পরে মুখ ঢেকে চলায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

তবে বামপন্থী বিরোধী ফ্রান্স আববোউড পার্টির ক্লিমেন্টাইন অটেইন সরকারের এ উদ্যোগকে পোশাক পরার স্বাধীনতায় কড়াকড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মিস অটেইন বলেন, সরকারের এই ঘোষণা অসাংবিধানিক। ফ্রান্স যে ধর্মনিরপেক্ষ বলে তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি আছে, এটা তার বিরোধী। মুসলিমদের অস্বীকার করার জন্য সরকার যে উদগ্রীব হয়ে আছে তার একটি প্রতীকী বিষয় এটি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পোস্টাল ব্যালটে ভোট ও ইসির অ্যাপ্স “পোস্টাল ভোটে বিডি” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে ‘আবায়া’ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স

আপডেট সময় ১০:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে আবায়া পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ফরাসি শিক্ষামন্ত্রী। খবর এএফপির।

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, শিক্ষায় কঠোরভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবহার করে ফ্রান্স। কিন্তু এই পোশাকটি সেই আইনকে লঙ্ঘন করে।

টিএফ১ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, স্কুলে আর আবায়া পরা সম্ভব হবে না। এ জন্য তিনি দেশজুড়ে স্কুলগুলোর প্রধানদের কাছে এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সেখানে ছুটি শেষ হয়ে স্কুল শুরু হচ্ছে। তার আগেই প্রধান শিক্ষকদের এই বার্তা দিলেন গাব্রিয়েল আত্তাল।

ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে বড় ক্রস, ইহুদিদের কিপ্পাস অথবা মুসলিমদের স্কার্ফ পরায় অনুমতি দেয় না। সরকারি স্কুলগুলোতে ১৯ শতক থেকে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রশাসনের সময় আরও কঠোর।

২০০৪ সালে দেশটির স্কুলে মাথায় স্কার্ফ পরায় নিষিদ্ধ হয়েছিল এবং ২০১০ সালে প্রকাশ্যে বোরকা পরে মুখ ঢেকে চলায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে দেশটির ৫০ লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

তবে বামপন্থী বিরোধী ফ্রান্স আববোউড পার্টির ক্লিমেন্টাইন অটেইন সরকারের এ উদ্যোগকে পোশাক পরার স্বাধীনতায় কড়াকড়ি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মিস অটেইন বলেন, সরকারের এই ঘোষণা অসাংবিধানিক। ফ্রান্স যে ধর্মনিরপেক্ষ বলে তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি আছে, এটা তার বিরোধী। মুসলিমদের অস্বীকার করার জন্য সরকার যে উদগ্রীব হয়ে আছে তার একটি প্রতীকী বিষয় এটি।