প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ফ্রান্স আওয়ামী লীগের বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা করার লক্ষ্যে আটজনকে দায়িত্ব দিলেও সে নিদের্শনাকে অবজ্ঞা করেছেন ফ্রা্ন্স আওয়া্মী লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ।দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে চলার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।অভিযোগ রয়েছে কতিপয় নেতা কমিটির আকার গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে বেশী করেছেন। এমনকি দলীয় প্যাডে কমিটি প্রকাশ না করে ফেসবুকে সাদা কাগজে কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের কমিটি করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে পাশ কাটিয়ে বৃহৎ কলেবরের কমিটি পুনর্বিন্যাসের দাবীতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এক সভায় এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন। সভায় প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স আওয়ামী লীগের কমিটি করার দায়িত্ব যাদের দিয়েছিলেন তাদের আটজনের মধ্যে চারজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে প্রতিবাদ করার আহবান জানান। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কাদের স্বার্থে অমান্য করা হলো। যারা এসব ধৃষ্টতাপুর্ন আচরন করেছে তাদের শাস্তি দাবী করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সকলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহনমুলক কমিটি করতে বলে যান।
যোগ্যতার বিচারে একটি শক্তিশালী কমিটি হবে এমন প্রত্যাশা ছিলো ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর। কেন্দ্রীয় গঠনতন্ত্র মেনে কমিটি করতে হলে কমিটির আকার ছোট হবে জেনেও যে কোন ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রান নেতৃবৃন্দ। সেখানে কাদের স্বার্থে ১৫৭ জনের বৃহৎ আকারের কমিটি করা হয়েছে সেটা সকলে জানতে চায়। নেত্রীর নির্দেশ যে বা যারা অমান্য করে তারা কখনো আওয়ামী লীগের মঙ্গল কামনা করে না বলে নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির এক নেতা কমিটিতে স্থান দেয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সে সময় এ নেতা বলেন, এক বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে কমিটিতে স্থান পাওয়া সহজ হবে। কমিটিতে স্থান দেয়ার নাম করে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা বলেন, আওয়ামী লীগ করেনা এমন অনেককে এ কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে রাখা হয়েছে। এসব বিষয় তদন্তের বিষয়ে জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল বাকী, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, যুদ্ধাহত মুক্তিযো্দ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী, দিলওয়ার হোসেন কয়েছ, জ্যেষ্ঠ নেতা এম এ খালেক, ছালেহ আহমেদ চৌধুরী, ওয়াহিদ ভার তাহের, জসীমউদ্দিন ফারুক, আশরাফুল ইসলাম, নুরুল হক ভুইয়া, জহিরুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ রশীদ রানা, আব্দুল মোতালেব খান, শরফউদ্দিন স্বপন, আলী হোসেন সহ ফ্রান্স আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা বেনজির আহমেদ সেলিমকে সভাপতি এবং মহসীন উদ্দিন খান লিটনকে সাধারন সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় গঠনতন্ত্র মেনে পুর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে এম এ কাশেম এবং যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দিলওয়ার হোসেন কয়েছের নাম প্রধানমন্ত্রী নিজে লিখে দেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন, বেনজির আহমেদ সেলিম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, এম এ কাশেম, মুজিবুর রহমান, মহসীন উদ্দিন খান লিটন এবং দিলওয়ার হোসেন কয়েছ। তাদের উপস্থিতিতে সকলের অংশগ্রহনমুলক একটি কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।