গত সপ্তাহে সিরিয়ার ইস্টার্ন ঘৌটার দৌমা শহরে এক রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার রাতে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই ত্রিদেশীয় হামলার তীব্র সমালোচনা করেছে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যমগুলো। সেসব গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিবৃতি ও মন্তব্য তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। নিচে সেসব প্রতিক্রিয়ায় অনুবাদ তুলে ধরা হলো-
আরটি (রাশিয়া): রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যমের ইংরেজি ভার্সন, রাশিয়া টুডে’তে (আরটি) প্রকাশ করা হয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্য। তাতে হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন পুতিন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, এতে করে সিরিয়াসহ পুরো অঞ্চলজুড়েই সৃষ্টি হবে আশ্রয়প্রার্থীদের নতুন এক ঢল।
সপুটনিক (রাশিয়া): আরটি’র পাশাপাশি রাশিয়ার আরো একটি রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম সপুটনিকের প্রতিবেদনে রুশ সামরিক বাহিনীর এক দাবি প্রকাশ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পেরেছে সিরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৭১টি ক্ষেপণাস্ত্রই সিরিয়ান এস-১২৫ ও এস-২০০ নামের ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী সিস্টেম দ্বারা গুলি করে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছে।
প্রেস টিভি (ইরান): ইরানের ইংরেজি ভাষী গণমাধ্যম প্রেস টিভি প্রচার করেছে, হামলার বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির প্রকাশ্য নিন্দা। তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলাটিকে ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। এ ছাড়া প্রেস টিভিতে রুশ কর্মকর্তাদের, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয়ার দাবিটি প্রকাশ করা ও বারবার দেখানো হয়েছে।
আল মানার (হিজবুল্লাহ): হিজবুল্লাহ পরিচালিত গণমাধ্যম আল-মানার প্রকাশ করেছে, সিরিয়ার বিরুদ্ধে এই আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে দেয়া হিজবুল্লাহর এক বিবৃতি। দলটি বলেছে, সিরিয়ার ওপর এই হামলায় সপষ্টভাবে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও এর জনগণের মর্যাদার লঙ্ঘন হয়েছে। আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে, এই অঞ্চলের মানুষের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ও বিদ্রোহী আন্দোলন চালানো হচ্ছে সেগুলো তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে। এসব মোকাবিলা করতে ও জয়ী হতে আরো শক্তিশালী ও আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে উম্মাহ’র (জাতি) উত্থান ঘটবে।
সানা (সিরিয়া): সিরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থায় প্রকাশ করা হয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার প্রতি নিন্দা। এ ছাড়া দাবি করা হয়েছে যে, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর নিক্ষেপ করা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছে। সানা’র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সিরীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, তারা বিদ্রোহীদের ব্যবহার করা একটি গবেষণাগার আবিষ্কার করেছে যেটি বিষাক্ত পদার্থ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল।