প্রচন্ড গরম। চারদিক উত্তপ্ত কড়াইয়ের মতো। গায়ে ফুস্কা পড়ার মতো অবস্থা। একেতো জ্যৈষ্ঠের কাঠ ফাটা রোদ, তার উপর রোজার ক্লান্তি-দুর্বলতা। সবমিলিয়ে বলতে গেলে কঠিন পরিস্থিতে সিলেট অঞ্চলের মানুষ। এ অবস্থায় সিলেটবাসীর জন্য খুব জরুরী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডাক্তার হিমাংশু লাল রায়।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবারে ছিলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাই বলে দিচ্ছে কি কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন ঈদের কেনা-কাটার জন্য উন্মুখ সিলেটবাসী।
এ সময়টাতে গরমজনিত নানা রোগের প্রদর্ভাব হতে পারে। সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে সিভিল সার্জন ডাক্তার হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, গরমে নানা রোগ হতে পারে। এরমধ্যে সবচেয়ে আতংকের যেটি সেটি হচ্ছে ‘হিটস্ট্রোক’। রোজাদারদের জন্য এটিই সবচেয়ে চিন্তার কারণ।
অতিরিক্ত গরমের সাথে অতিরিক্ত ঘাম, সেই সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে লবন। আর তাই দুর্বল হয়ে হঠাৎ কেউ কেউ বেহুঁশ হয়ে পড়তে পারেন। আর তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।
এছাড়া সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই ইফতারে অতিরিক্ত এবং ঠান্ডা পানি পান করেন। এটিও খুব ক্ষতিকর। ডাক্তার হিমাংশু লাল রায়ের মতে, অতিরিক্ত পানি খাওয়ায় বদহজম ক্ষুধামন্দ্যা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হতে। হতে পারে ডায়রিয়াও।
তাই পরিমিত পানি ও খাবার গ্রহন, ঠান্ডায় থাকা, যাদের কাজকর্ম করতেই হয় তাদেরকে যতটুকু সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন।