ডেস্ক ঃ ফ্রান্সে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী বানিয়ে দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এনিয়ে কমিউনিটিতে রয়েছে চরম অসন্তুষ্টি। অনেক অভিযোগের পরও তা বন্ধ হচ্ছে না। এর কারন এর পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। আর এ চক্রটি ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস থেকে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়ার জন্য সক্রিয় ভুমিকা রাখছে। তারা বিভিন্ন সময় দুতাবাসের কনস্যুলার সেকশনে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়ার জন্য লিখিত এবং মৌখিক চাপ সৃষ্টি করছে। ভারতীয় নাগরিকের বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেয়ার অনায্য অনুরোধের বিষয়ে ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশ দুতাবাস কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করছে।
সুত্র মতে, ফ্রান্সের বাংলাদেশী বিভিন্ন সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট করিয়ে দেয়ার জন্য দুতাবাস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছে। অনেক সময় দুতাবাস এদের অন্যায় দাবী পুরনে অনীহা জানালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে এ চক্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়, ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশী জন্মনিবন্ধন তৈরী করে পাসপোর্টের আবেদন করানো হয়। বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয় এ কাজে। বাংলাদেশী জন্মনিবন্ধন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাসপোর্ট আবেদনের সময় চক্রটি দুতাবাস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে তাদের বাংলাদেশী হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য। ভাষা এবং উচ্চারনগত অমিল থাকায় অনায়াসে ভারতীয় বাঙ্গালীদের সনাক্ত করা যায়। এরপরও এ চক্রটির অনুরোধে পাসপোর্ট করার জন্য দুতাবাসের প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশে পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে তাদের বাংলাদেশী হিসেবে প্রমান না পাওয়ায় তাদের পাসপোর্ট আসে না।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। ভারতীয়রা ফ্রান্সে আশ্রয় আবেদন জমা দিতে না পারায় প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশী হিসেবে আবেদন করে। সে সময় এ চক্রের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশী নাগরিক সনদ জমা দেয়। এদের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবার পর কাজের আওতায় বৈধ হবার চেষ্টা করে। সে সময় বাংলাদেশী পাসপোর্ট জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় এ চক্রের মাধ্যমে দুতা্বাস কর্তৃপক্ষকে একপ্রকার জিম্মি করে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করা হয়।
এ চক্রের বিরুদ্ধে সকল দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।