ফ্রান্সে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে কোথাও কোথাও ৩৮ ডিগ্রী পর্যন্ত পৌছেছে। শীত প্রধান দেশের জন্য একেবারেই অসহনীয় তাপমা। সাধারণত এমন গরম থেকে বাঁচতে এখন এসি-এর ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু নানা কারণে ফ্রান্সে অনেকে এসি-এর দ্বারস্থ হতে পারেন না। তাই এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে, যা বাড়ির অন্দরমহলের পরিবেশকে একদম করে দেবে ঠান্ডা। জেনে নিন সেই সকল ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে-
১। টেবিল ফ্যানের সামনে বাটিভর্তি বরফ রাখুন। এটা অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি। এতে বরফে লেগে ফ্যানের হাওয়া আরও ঠান্ডা হবে এবং সেই ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে যাবে।
২। ঘরে ক্রস ভেন্টিলেশন রাখুন। মানে যে দিকের দরজা বা জানলা খুলবেন, তার বিপরীতের দরজা এবং জানলা খুলে রাখুন। এতে ঠান্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করবে এবং বিপরীত দিক দিয়ে গরম বাতাসকে বের করে দেবে।
৩। ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন। নজর রাখুন, ঘরে যেন খবরের কাগজ স্তূপাকৃত ভাবে না থাকে। সিল্কের জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। মেঝেতে উলের কার্পেট পাতা থাকলে তুলে ফেলুন। কাচের পাত্রে বা পাথরের থালা অথবা বাটিতে জল ঢালুন। জল ভর্তি পাত্রে কিছু পাথর রাখুন। কিছু ফুল দিয়ে দিন। এবার যে দরজা বা জানলা দিয়ে সবচেয়ে বেশি হাওয়া আসে, তার সামনে রেখে দিন।
৪। ঘরে অযথা লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন না। যত অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ল্যাম্পই জ্বালান না কেন, অপ্রয়োজনে জ্বালিয়ে রাখবেন না। ল্যাম্পের আলো ঘরের বাতাসকে গরম করে তোলে। পারলে ঘরে কম পাওয়ারের আলো লাগান।
৫। চাল ভর্তি বালিশ তৈরি করুন। চাল খুব ঠান্ডা থাকে। তাই গরমকালে চালের তৈরি বালিশ মাথায় দিতে পারেন। এতে চোখে-মুখে ঠান্ডার সতেজতা পাবেন। বালিশে চাল ভরার আগে এর মধ্যে কিছু নিমপাতা মিশিয়ে দিন। এতে চালে পোকা হবে না।
৬। ঘরে পারলে অর্কিড জাতীয় গাছ রাখুন। গাছ ঘরের মধ্যে থাকা গরম বাতাস থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া চালু রাখে। এতে ঘরের গরম বাতাস হাল্কা হয় এবং তাতে প্রচুর পরিমাণে জলকণা সঞ্চিত হয়। ফলে, ঘরে ঠান্ডা থাকে।
৭। ইলেক্ট্রিক প্লাগ অন রাখবেন না। প্লাগে কোনও গ্যাজেট গুঁজে রাখলে তার কাজ শেষ হতেই সুইচ বন্ধ করে দিন এবং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটকে প্লাগ থেকে খুলে নিন।
৮। বারান্দায় বা জানলায় খসখস অথবা বাঁশের পর্দা ব্যবহার করুন। এতে জল দিয়ে দিন। এমন ঠান্ডা অনুভব করবেন যে, এসি-র কথা ভুলে যাবেন।