ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বালাগঞ্জে ‘আত-তাকওয়া’ প্রকল্প পরিদর্শনে প্রবীণ কমিউনিটি নেতা শাহনূর চৌধুরী বিসিএফ আয়োজিত স্টুডেন্টস এওয়ার্ড এন্ড রিইউনিয়ন ২০২৪ ক্রমশঃ এর ব্যাপ্তি ও গ্রহণযোগ্যতা বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ) ৬ষ্ট কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্টিত বিসিএফ কমিউনিটি এওয়ার্ড ২০২৪ – পেলেন ‘ফ্রান্স দর্পণ’ প্রকাশক মিয়া মাসুদ বিজয় বিবস উপলক্ষে ইপিএস কমিউনিটি আয়োজন করল “শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও কবিতা আবৃত্তি” গহরপুর জামিয়ার ৬৮তম বার্ষিক মাহফিল বৃহস্পতিবার: সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হযরত শাহ জামাল (রহ.) দারুস সুন্নাহ নুরীয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দুয়া মাহফিল ৫ জানুয়ারি প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন বালাগঞ্জে শাহ আকিবুন নূর চৌধুরী বৃত্তি বিতরণ সম্পন্ন ফ্রান্সে প্রবাসে সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরনের পন্থা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক হত্যা ও বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ জাফরুল হাসানঃ গত ২২ বছরে সারাদেশে বিভিন্নভাবে ৩০ জন সাংবাদিক সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি। দুর্বল তদন্ত ও শক্তিশালী মহলের চাপের কারণে খালাস পেয়ে যাচ্ছে আসামীরা।

গত ক’দিন আগে (২৮ আগস্ট) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক প্রকাশক সুবর্ণা নদী হত্যা হয়। তাকে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে, পিঠে এবং গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মারা হয়।

২০০২ সালে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার হারুন উর রশিদ হত্যা এবং ২০০৪ সালে খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু হত্যা মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছে।

অন্যান্য মামলাগুলো ঝুলে আছে। দুর্বল তদন্তের কারণেই আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা।

সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ৫ বছরে পড়ল। কোনো কূল কিনারা হল না। সে সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধী সনাক্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পরে কত হাজার ৪৮ ঘন্টা পার হল কিন্তু বিচার হল না। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলেই ঘটে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আর তা না হলে অপরাধীরা একের পর এক এ ধরণের অপকর্ম চালিয়েই যাবে।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট ( সিপিজে) এর তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম।

সাগর-রুনিসহ অন্যান্য সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে তালবাহানা দেখতে চাই না। সঠিক তদন্তের জন্য বিচার দাবি করছি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সেই ৪৮ ঘন্টার অপেক্ষা শেষ হয়নি ৬ বছরেও। সমকালের সাংবাদিক শিমুল হত্যাকাণ্ডেও যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল দিয়ে বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

১৯৯৬ সালে সাপ্তাহিক নীল সাগর এর প্রতিবেদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নির্বাচন ফলাফল পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহকালে নিরাপত্তা কর্মীর গুলিতে নিহত হন। পরবর্তী সময় প্রতিবছর এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন নাম। সাইফুল আলম, মীর ইলিয়াস হোসাইন, শামসুর রহমান, নাহার আলি, হারুনুর রশিদ, শুকুর হোসাইন, সৈয়দ ফারুক আহমেদ, মানিক সাহা, হুমায়ন কবির বালু , কামাল হোসেন, দিপঙ্কর চক্রবর্তি, শহীদ আনোয়ার, শেখ বেলাল উদ্দিন, গোলাম মাহফুজ, গৌতম দাস, বেলাল হোসেন, ফরহাদ খা, গোলাম মোস্তফা সারোয়ার, মেহেরুন রুনি, অনন্ত বিজয় দাস, জামাল উদ্দিন, আলহাদ আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, মিশিউর রহমান এবং সর্বশেষ সুবর্ণা নদী নিহত হন।

লেখকঃ প্রধান প্রতিবেদক, ফ্রান্স দর্পণ

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

বালাগঞ্জে ‘আত-তাকওয়া’ প্রকল্প পরিদর্শনে প্রবীণ কমিউনিটি নেতা শাহনূর চৌধুরী

সাংবাদিক হত্যা ও বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মোহাম্মদ জাফরুল হাসানঃ গত ২২ বছরে সারাদেশে বিভিন্নভাবে ৩০ জন সাংবাদিক সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি। দুর্বল তদন্ত ও শক্তিশালী মহলের চাপের কারণে খালাস পেয়ে যাচ্ছে আসামীরা।

গত ক’দিন আগে (২৮ আগস্ট) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক প্রকাশক সুবর্ণা নদী হত্যা হয়। তাকে চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে, পিঠে এবং গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মারা হয়।

২০০২ সালে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার হারুন উর রশিদ হত্যা এবং ২০০৪ সালে খুলনা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু হত্যা মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছে।

অন্যান্য মামলাগুলো ঝুলে আছে। দুর্বল তদন্তের কারণেই আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা।

সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ৫ বছরে পড়ল। কোনো কূল কিনারা হল না। সে সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধী সনাক্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পরে কত হাজার ৪৮ ঘন্টা পার হল কিন্তু বিচার হল না। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলেই ঘটে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আর তা না হলে অপরাধীরা একের পর এক এ ধরণের অপকর্ম চালিয়েই যাবে।

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট ( সিপিজে) এর তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম।

সাগর-রুনিসহ অন্যান্য সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে তালবাহানা দেখতে চাই না। সঠিক তদন্তের জন্য বিচার দাবি করছি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সেই ৪৮ ঘন্টার অপেক্ষা শেষ হয়নি ৬ বছরেও। সমকালের সাংবাদিক শিমুল হত্যাকাণ্ডেও যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল দিয়ে বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

১৯৯৬ সালে সাপ্তাহিক নীল সাগর এর প্রতিবেদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নির্বাচন ফলাফল পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহকালে নিরাপত্তা কর্মীর গুলিতে নিহত হন। পরবর্তী সময় প্রতিবছর এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন নাম। সাইফুল আলম, মীর ইলিয়াস হোসাইন, শামসুর রহমান, নাহার আলি, হারুনুর রশিদ, শুকুর হোসাইন, সৈয়দ ফারুক আহমেদ, মানিক সাহা, হুমায়ন কবির বালু , কামাল হোসেন, দিপঙ্কর চক্রবর্তি, শহীদ আনোয়ার, শেখ বেলাল উদ্দিন, গোলাম মাহফুজ, গৌতম দাস, বেলাল হোসেন, ফরহাদ খা, গোলাম মোস্তফা সারোয়ার, মেহেরুন রুনি, অনন্ত বিজয় দাস, জামাল উদ্দিন, আলহাদ আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, মিশিউর রহমান এবং সর্বশেষ সুবর্ণা নদী নিহত হন।

লেখকঃ প্রধান প্রতিবেদক, ফ্রান্স দর্পণ