ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা! আননূর মাদরাসার পক্ষ থেকে হাফিজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু-কে মেলবন্ধন স্মারক প্রদান বালাগঞ্জে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে “নবাগত ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ’র মতবিনিময় বালাগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের ‘হাতের মুঠোয় সকল সেবা’ কার্যক্রম চালু বিমানের প্যারিস-ঢাকা ফ্লাইট পুনরায় চালুর জোরালো দাবী প্রবাসীদের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ হত্যা মামলার অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খলকু মিয়া আটক গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে সংবর্ধনা ও শিক্ষা সেমিনার অন্তর্বর্তীকালীন সকল সিদ্ধান্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত- বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদিক সম্মেলন করলেন সিলোট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য লোকন মিয়া

প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস পালিত

  • আপডেট সময় ১১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৪৫৭ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞপ্তি- যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে জাতীয় বিজয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব কাজী ইমতিয়াজ হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতা সহ অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্যারিসে বসবাসরত বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দসহ সকল স্তরের শতাধিক প্রবাসি বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে বক্তাগণ বলেন যে, এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তাঁরা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রবাসী বক্তাগণ।

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্ম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন যার বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কর্মযজ্ঞ বিশাল শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন । কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয় । জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে সচেষ্ট হবার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নে তিনি সমগ্র সকল প্রবাসিকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয় ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

“Dead” একটি শব্দ ও অচল প্রায় জীবন চাকা!

প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস পালিত

আপডেট সময় ১১:৪২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

বিজ্ঞপ্তি- যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে জাতীয় বিজয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব কাজী ইমতিয়াজ হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতা সহ অন্যান্য পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্যারিসে বসবাসরত বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দসহ সকল স্তরের শতাধিক প্রবাসি বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে বক্তাগণ বলেন যে, এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তাঁরা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রবাসী বক্তাগণ।

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদদের আত্ম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন যার বিনিময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কর্মযজ্ঞ বিশাল শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন । কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয় । জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে সচেষ্ট হবার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানান পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নে তিনি সমগ্র সকল প্রবাসিকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয় ।