ডেস্কঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম অনলাইনে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রবাসী সংগঠন দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের কমিটি গঠিত হয়েছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট-এর কার্যকরী পরিষদের ২০১৯-২০ সালের কমিটি গঠন উপলক্ষে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারী ইংল্যান্ড সকাল নয়টায় শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়।
অনলাইনে দাউদপুর ইউনিয়নের ৯৭ জন প্রবাসী ভোটার অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে ৯১জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আম, আনারস ও কাঠাল প্রতীকের তিনটি প্যানেলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা হয়। ভোট গ্রহণ শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারী ইউ.কে সময় সকাল ১০টায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আজাদ সোবহান আহমদ।
৪৭ ভোট পেয়ে আনারস প্রতীকের জামি-আছাদ-মিনু প্যানেলর সভাপতি পদে ইউ.কে প্রবাসী আহমেদ জাকারিয়া জামি, সেক্রেটারী পদে আরব আমিরাত প্রবাসী আছাদুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ পদে ইউ.কে প্রবাসী হাফিজুর রহমান মিনু নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ৩৮ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হয়েছেন কাঠাল প্রতীকের আবুল-আলী-সাব্বির প্যানেল।
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ছিলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সমাজ কল্যাণ সমিতি ইউ.কে’র সভাপতি সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ক্যাটারিং এসোসিয়েশন ইউ.কে’র সোস্যাল এন্ড কালচারাল সেক্রেটারী নাসির উদ্দিন, মোগলাবাজার ওয়েলফেয়ার এন্ড এডুকেশন ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট আব্দুল মতিন, জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্দুল মজিদ লাল মিয়া, এমএআই ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউ.কের প্রতিষ্ঠাতা ইসলাম উদ্দিন, সৌদি প্রবাসী বিশিষ্ট সংগঠক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী।
তিনটি প্যানেলের এজেন্ট হিসেবে গ্রুপে এড ছিলেন সৌদি প্রবাসী শাহিন আহমদ, ইউকে প্রবাসী বাবুল আহমদ ও বাহরাইন প্রবাসী কামাল উদ্দিন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৌদি আরব প্রবাসী আজাদ সোবহান আহমদ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী নোমান মাহমুদ ও দুবাই প্রবাসী হাজী সমিদ মিয়া টানা ২দিন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য- গত ১৫ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট ২০১৬ সালের ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে।