পাঁচ সপ্তাহের জন্য মঙ্গলবার বৃটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই স্থগিতাদেশকে বেআইনি বলে রায় দিয়েছে স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত। এ মর্মে এডিনবার্গের কোর্ট অব সেশনের তিন বিচারক সর্বসম্মত রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, পার্লামেন্ট স্থগিত করা অসাংবিধানিক। আগামী মঙ্গলবার লন্ডনে সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সেই শুনানির আগে পার্লামেন্ট স্থগিতের বিরুদ্ধে কোনো নির্দেশ দেয়নি ওই তিন বিচারকের বেঞ্চ। লিখিত রায়ে বিচারকরা বলেছেন, আগামী ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত ওয়েস্টমিনস্টারের দরজা বন্ধ করতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে প্রধানমন্ত্রী যে অনুরোধ করেছেন, তাতে রয়েছে পার্লামেন্টকে কোণঠাসা করার অনুচিত উদ্দেশ্য। এতে যা অনুসরণ করা হয়েছে তা বেআইনি।
তারা বলেন যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল পার্লামেন্ট নির্বাহীদের সমালোচনা সীমিত করে দেয়া। যা সংবিধানের সুশাসনের মূলনীতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই পার্লামেন্ট স্থগিত করে দেন প্রধানমন্ত্রী। স্কটল্যান্ডের আদালতে তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির ৭৮ জন এমপি। দলটির এমপি জোয়ানা চেরি তাৎক্ষণিকভাবে পার্লামেন্ট সচল করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে বরিস জনসন ও জ্যাকব রিজ-মগ সহ অন্যরা এই ষড়যন্ত্র করেছেন। যাতে তারা অননুমোদিত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করলেও আমরা তাদের ভুল-ত্রুটি ধরতে না পারি। ব্রেক্সিট বিরোধী ব্যারিস্টার জলিয়ন মঘাম কিউসি আবেদনের একজন পিটিশনার। তিনি বিশ্বাস করেন, আদালতের এই সিদ্ধান্তের মানে হচ্ছে, পার্লামেন্ট আর স্থগিত নেই।