কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে করোনাভাইরাস। বরং হঠাৎ করেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে চীনের প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪২ জন। মারা যাওয়া ওই ২৪২ জনের সবাই হুবেইপ্রদেশের।
এই ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন এক হাজার ৩৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মোট দুজন মারা গেছেন। খবর বিবিসির।
এ ভাইরাসে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫৩৯ জন এবং চীনের বাইরে ৫২৪ জন। সব মিলিয়ে পুরো বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৬৮০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, বুধবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪০ জন।
এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৫৩৯ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ জনের অবস্থা ভয়াবহ বলে জানানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণে রয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার মানুষ।
হুবেইপ্রদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশটিতে নতুন করে ১৪ হাজার ৮৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এ নিয়ে হুবেইপ্রদেশে মারা গেছে এক হাজার ৩১০ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ২০৬ জন। হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৪০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।
সেখানকার একটি সামুদ্রিক খাদ্য ও মাংসের বাজার থেকে করোনাভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সে জন্য চীন হুবেইপ্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ওই অঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে চীনসহ বাইরের বিশ্বের।
এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ আক্রান্তের খবর আসছে, তাতে আক্রান্তের আসল খবর জানা যাচ্ছে না।
কারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, শুধু তাদের হিসাব পরিসংখ্যানে ধরা হচ্ছে। তাই এর প্রকৃত হিসাব বের করা বা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার, যা আরেকটি আশঙ্কার কারণ।
চীনের সব প্রদেশসহ বিশ্বের ২৬ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ৫২৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।