করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। প্রথম দিকে চিকিৎসকদের দেয়া হচ্ছে টিকা তাদের ফলাফল জনমনে আস্থা তৈরি হবে বলে জানান রোগ তত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার মুস্তাক হোসেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এখন দেশে। এ টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এরই মধ্যে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল।
অক্সফোর্ডের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের আবিষ্কৃত টিকা নেয়ার পর তেমন কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয় না। অন্যান্য টিকার মতো স্থান কিছুটা ফুলে যাওয়া, মৃদু শরীর ব্যথা, হালকা জ্বর, চুলকানি, মাথা ব্যথা, বমি ভাব হতে পারে। যা পরে এমনিতেই সেরে যায়। এসব প্রতিকারের ব্যবস্থা সাধারণ চিকিৎসায় সম্ভব বলে জানান, এই চিকিৎসক।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আদুল্লাহ বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে পার্শ্ব প্রক্রিয়া একেবারে নেই। যদিও থাকে তা তুলনা মূলকভাবে অনেক কম। তাৎক্ষনিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে। যাতে চিকিৎসা করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা থাকবে।
আগামী মাসে শুরু হবে দেশে করোনার টিকা প্রয়োগ। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকরা নিলে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানান, আইইডিসিআরের সাবেক এই কর্মকর্তা।
আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা মুস্তাক হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য-কর্মীরা প্রথমে টিকা নিচ্ছে। এবং তাদের মধ্যে অনেকের জন্যেই জরুরী। নিশ্চয় মানুষকে এটিতে আশ্বস্ত করবে।
জটিল রোগে আক্রান্তদের এ টিকা আপাতত না নেয়ার পরামর্শ তাদের। টিকা নিয়ে কোনো রকম গুজবে সাড়া না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সমালোচনা আমরা দেখেছি। কিন্তু আমরা সেই সমালোচনায় কান দেয়নি। আমরা কাজ করে গিয়েছি। আর যাদের টিকা পাওয়া দরকার তারা আগে পাবে।
টিকাদানেও সরকার সফল হবে বলে জানান মন্ত্রী।