শামসুল ইসলাম, প্যারিস থেকে : ফ্রান্স আওয়ামী লীগের উভয় গ্রুপ মিলিয়ে গঠিত পুর্নাঙ্গ কমিটি নিয়ে সাধারন নেতা কর্মীদের মাঝে অসেন্তাষ বিরাজ করছে। আকারে বিশাল হলেও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া কমিটিতে অনেক পরিচিত মুখ স্থান না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কমিটি করার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের দুটি কমিটি বিলুপ্ত করে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্স সফরকালীন সময়ের শেষ দিনে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের দু অংশের চারজন করে মোট আটজন নেতাকে নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় তিনি বেনজির আহমেদ সেলিমকে সভাপতি, এক অংশের সভাপতি এমদ এ কাশেমকে সহ সভাপতি, অপর অংশের সভাপতি মহসীন উদ্দিন লিটনকে সাধারন সম্পাদক এবং একই অংশের সাধারন সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন কয়েছকে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। অপর অংশের সাধারন সম্পাদক মো: মুজিবুর রহমানকে সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ করার জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ দেন। এ সময় ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজিম উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ আলী ও এনামুল হক।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিবাদ মিটিয়ে ফেলা এবং নতুন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী কমিটির প্রত্যাশায় ফ্রান্স আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অপেক্ষা করলেও তাদের সে আশা পুরন হয়নি। একাধিক মিটিংয়ের পর ফ্রান্স আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম ও সাধারন সম্পাদক মহসীন উদ্দিন লিটন স্বাক্ষরিত একটি কমিটি ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। দলীয় প্যাড ব্যবহার না করে সাদা কাগজের কমিটির তালিকায় নবীন প্রবীন মিলিয়ে ১৫৭ জনের নাম রাখা হয়। টাইপ করে কমিটির নাম দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে হাতে লেখা কয়েকটি নাম সংযোজন করা হয়। তড়িঘড়ি করে এ নামগুলো দেয়া হয়েছে বলে সহজেই অনুমেয়।
ফেসবুকের মাধ্যমে কমিটির তালিকা প্রকাশ করলেও অজানা কারনে সভাপতি বা সাধারন সম্পাদকের একজনও এ কমিটির দায়িত্ব স্বীকার করে কোন বিববৃতি দেননি। এমনকি দীর্ঘ বিবাদের পর একটি সম্মিলিত কমিটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশের কথা থাকলেও সেটা থেকে বিরত থাকেন নেতৃবৃন্দ।
১৫৭ জনের কমিটির পাশাপাশি ২৪ জন উপদেষ্টার নাম ও প্রকাশ করা হয়। বিগত দিনে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের দুই অংশের পরিচিত নেতৃবৃন্দের অনেকেই বাদ পড়েছেন বলে জানা যায়। কমিটির আকার বাড়লেও অনেক অপরিচিত এবং অল্প দিন ফ্রান্সে বাস করা অনেকে বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ পাওয়ায় ত্যাগী নেতা কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কমিটিতে নতুনদের প্রাধান্য পাওয়ার পিছনে বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে বলে অনেকেই জানান। বাদ পড়া ত্যাগী কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যায়। কমিটির কলেবর বড় হওয়ায় বাদ পড়াদের ও অর্ন্তভুক্ত করার দাবী উঠছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।