ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান প্যারিসে অন্নপূর্ণা পূজা পরিষদের আয়োজনে বৈশাখী উৎসব পহেলা মে, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সে বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রুপের আয়োজনে দিবসকে স্মরণ প্যারিসে বেংগল টাইগার্সে স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সি উন্মোচন অভিবাসন সাংবাদিকতার উন্নয়নে ‘মার্সেই সনদ’ সই ইতালিতে খোলা‌ মাঠে “বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদে’র বর্ণাঢ্য বৈশাখী উৎসব দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবা বঞ্চিত মানিকগঞ্জের চান্দহর ইউনিয়নবাসী বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে অচল ইউনিয়ন পরিষদ গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন, নেতানিয়াহুকে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্সের নেতৃত্বে ইউরোপও সক্রিয় হয়েছে ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া

বাংলাদেশের রিক্সা  রিকশাচিত্রকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে  স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো

  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২০৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কো অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় বুধবার। এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

প্রায় ৬ বছর বিরতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ শিরোনামে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। এর আগে জামদানি বুনন, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা একই স্বীকৃতি পেয়েছিল।

গত ছয় বছর যাবত এই চিত্রকর্মটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে আবারও নথিটি জমাদানের সুযোগ প্রদান করা হলে প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এই স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের সকল রিকশাচিত্র শিল্পীদের স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা বিনির্মাণ ও যানবাহনের যান্ত্রিকীকরণের ফলে বড় শহরগুলোতে রিকশা চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ধীরে ধীরে রিকশা ও এর নান্দনিক চিত্রকর্ম হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই চিত্রকর্মটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ এই নথিটি প্রস্তুত করে। এই নিবন্ধনের ফলে বিগত আট দশক ধরে চলমান এই চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।’ তিনি এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উৎসাহ ও দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। এই স্বীকৃতির ফলে রিকশাচিত্রের সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপি এই চিত্রকর্মকে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের দায়বদ্ধতার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এই অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন। এছাড়াও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশের রিকশাচিত্র নিবন্ধিত হওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপস্থিত মন্ত্রীবর্গ, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এই চিত্রকর্মের বৈচিত্রপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন।

গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।

গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সময়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। এছাড়াও রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি নিয়ে এক দশক ধরে চলমান জটিলতার নিরসনে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ দরকষাকষিতে অংশ নেয় এবং সফলতার সাথে সকল অপপ্রচারকে ভুল প্রমাণিত করে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য নিবন্ধনকে সুরক্ষিত রাখে। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এই ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।

 

বাংলাদেশের রিকশাচিত্রকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

প্যারিসে ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ বাংলাদেশিকে অভ্যর্থনা প্রদান

বাংলাদেশের রিক্সা  রিকশাচিত্রকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে  স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো

আপডেট সময় ০৯:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কো অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় বুধবার। এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

প্রায় ৬ বছর বিরতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ শিরোনামে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। এর আগে জামদানি বুনন, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রা একই স্বীকৃতি পেয়েছিল।

গত ছয় বছর যাবত এই চিত্রকর্মটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে আবারও নথিটি জমাদানের সুযোগ প্রদান করা হলে প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।

অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এই স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের সকল রিকশাচিত্র শিল্পীদের স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা বিনির্মাণ ও যানবাহনের যান্ত্রিকীকরণের ফলে বড় শহরগুলোতে রিকশা চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ধীরে ধীরে রিকশা ও এর নান্দনিক চিত্রকর্ম হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই চিত্রকর্মটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ এই নথিটি প্রস্তুত করে। এই নিবন্ধনের ফলে বিগত আট দশক ধরে চলমান এই চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।’ তিনি এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উৎসাহ ও দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। এই স্বীকৃতির ফলে রিকশাচিত্রের সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপি এই চিত্রকর্মকে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের দায়বদ্ধতার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এই অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন। এছাড়াও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশের রিকশাচিত্র নিবন্ধিত হওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপস্থিত মন্ত্রীবর্গ, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এই চিত্রকর্মের বৈচিত্রপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন।

গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।

গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সময়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। এছাড়াও রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি নিয়ে এক দশক ধরে চলমান জটিলতার নিরসনে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ দরকষাকষিতে অংশ নেয় এবং সফলতার সাথে সকল অপপ্রচারকে ভুল প্রমাণিত করে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য নিবন্ধনকে সুরক্ষিত রাখে। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এই ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।

 

বাংলাদেশের রিকশাচিত্রকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি