প্রতিবেদনে বলা হয়, গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটকে ৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। নয়তো আরও জরিমানা করা হতে পারে তাদের। তবে গুগল জানিয়েছে তারা আপিলের চিন্তাভাবনা করছেন।
অভিযোগ উঠেছে, অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতাদের বিল্ট-ইন গুগল ক্রোম ও গুগল সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে অ্যালফাবেট। যাদের মোবাইলে আগে থেকে এই অ্যাপ থাকবে শুধু তারাই প্লে-স্টোর ব্যবহার করতে পারবেন।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশন জানায়, গুগল এই জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের অপব্যবহার করেছে। অ্যানড্রয়েডের মাধ্যমে তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য প্রদর্শনের জায়গা ব্লক করে দিয়েছে, যেটা অনৈতিক। জানানো হয়,গ্রাহকদের নিজেদের পছন্দমতো অ্যাপ ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে।
গুগল প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইইউ কমপিটিশন কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্টেগার।
বিবিসি জানায়, এই রায়ের পর স্মার্টফোন নির্মাতারা গুগলের বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করতে পারে, যেমন অ্যামাজনের ফায়ার ওএস। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বলেন, এতে করে বাজারের চেহারাই পাল্টে যাবে।
গুগলের দাবি তাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। এক মুখপাত্র বলেন, অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে পছন্দ করার সুযাগ বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেনি।
গুগলের অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল সফটওয়ার। এটি সারাবিশ্বের ৮০ শতাংশ স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়।
কি অভিযোগ ছিল গুগলের বিরুদ্ধে
ভেস্টেগার গুগলের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ তুলে ধরেন
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নির্মাতাদের আগে থেকেই গুগল সার্চ অ্যাপ ও ব্রাউজার ক্রোম ইনস্টল করে রাখতে বলে। প্লেস্টোরে তাদের অ্যাপ রাখা হবে এমন শর্ত দেয় তারা।
বড় কোম্পানি ও মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই অ্যাপগুলো আগে থেকেই ইনস্টল করে রাখার বিনিময়ে টাকা দেয় গুগল।
অন্যান্য ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম যেন নির্মাতারা ব্যবহার করতে না পারেন সেই চেষ্টা করে গুগল।
ভেস্টেগার বলেন, ফোন ব্যবহারকারীরা গুগলের অ্যান্ড্রয়েডে অন্য ব্রাউজার চাইলে ব্যবহার করতে পারতেন। তবে মাত্র ১ শতাংশ গ্রাহক টো করতো। তিনি বলেন, যখন আপনার কাছে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ থাকবে তখন খুব কম ক্ষেত্রেই আপনি বিকল্প খুঁজবেন।
বাংলা ট্রিবিউন