ইরানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ছয়টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশব্যাপী বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০-এ পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১৯ মার্চ থেকে ইরানে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০ গ্রাম ও শহর বন্যা কবলিত হয়েছে। প্রায় ৮৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিক বিশেষ করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার প্রধান পির হোসেইন কৌলিভান্দ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-কে জানিয়েছেন, বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
তেলসমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের নদীর বাঁধ খুলে দেওয়ার পর শনিবার সুসানগার্দ শহরের ৭০টি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুসানগার্দ শহরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যা ঝুঁকিতে রয়েছেন। খুজেস্তানের গভর্নর গোলাম রেজা শরীয়তি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা স্থানীয়দের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে তিনটি সামরিক স্থাপনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জানিয়েছেন, সর্ব শক্তি ব্যবহার করে খুজেস্তানের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা দিচ্ছে ইরানের তেল উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফ্রান্স জানায়, অন্তত ১২টন মানবিক সহায়তা পাঠাবে তারা। ইরান সরকার সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে তারা জানায়, কিছুদিনের মধ্যেই এই মানবিক সহায়তা সেখানে পৌঁছানো হবে।