রনি হাসানঃ সাইফুর রহমান কোন নাম নয়
সাইফুর রহমান একটি চলমান উন্নয়ন পক্রিয়া একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ পুরুষ।
গরীব বান্ধব এবং সাধারণ জনগণের ভাগ্য বদলানোর জন্য যিনি সব সব সময় বাজেট পেশ করতেন। এমন মানুষ শুধু সিলেট বা বাংলাদেশে নয় দক্ষিণ এশিয়াতেও ক্ষণজন্মা।
জনগণের কাছে পৌঁছার উদার মানসিকতা এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমার চোঁখে পড়েনি আজও।
মৌলভীবাজার এবং সিলেট সদর দুই আসনে এমপি ছিলেন,এতো পাওয়ারফুল মানুষ কিন্ত জীবন যাপন ছিলো খুবই সাধারণ।
দুইবার উনাকে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার উনার এপিএস কাইয়ুম চৌধুরীর বৌভাতে ফেঞ্চুগঞ্জে এবং মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে সিলেটের উপশহরে একটি অনুষ্টানে। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় মানু্ষের সাথে কথা বলছেন খুবই সাবলীল ভঙ্গিমায় দেখে মনে হচ্ছে যেন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছেন।
সাইফুর রহমান সাহেব একবার ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই হাসপাতালে সদ্য নার্সের চাকরি পাওয়া এক কিশোরী সাইফুর রহমান সাহেবের লুক আফটার করার দায়িত্বে ছিলো। একদিন বিকেল বেলা মেয়েটি উনার পাশে বসার অনুমতি চাইলো এবং বললো স্যার আমি আপনার ব্যাপারে অজ্ঞ তাই আজ আমার কলিগ’রা আমাকে বললো জানিস তুই যার দেখাশুনা করছিস উনার খবর জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ হাসপাতালে ফোন করেছেন এবং আপনার চিকিৎসার যেন কোন ত্রুটি না হয় সবাইকে সতর্ক করেছেন। আমি এও শুনেছি আপনি নাকি প্রাই মিনিস্টারের সহপাঠী। সাইফুর রহমান সাহেব মেয়েটি কে পাশে ডেকে এনে বলেছিলেন তুমি আমার ব্যাপারে জানতে চাইলে গুগলের সাহায্য নিতে পারো। পরদিন মেয়েটি উনার বায়োগ্রাফি ইন্টরনেটে খুঁজে পেয়ে ইনফরমেশন জানতে পেরে সাইফুর রহমান সাহেব’কে বলেছিলো স্যার আপনি এতো বড়ো একজন ইকোনমিস্ট আপনার সেবা করা আমার নার্সিং জীবনের সব থেকে বড়ো পাওয়া।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
মন্ত্রী এমপি হিসেবে সফলতার গল্প পরিপূর্ণতায় ভরপুর।
সিলেটের উন্নয়নের আপনার ভূমিকা ভুলে যাওয়ার দুঃসাহস দেখানোর ক্ষমতা কারোরই নেই। আপনার হাতের ছোঁয়াতে যেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রশস্ত হয়েছিলো সেই পথই আপনার প্রাণ কেড়ে নিবে ভাবতে পারিনি।
পরপারে ভালো থাকুন স্যার
আল্লাহ আপনাকে আপনার কর্মের
ফল স্বরূপ জান্নাত নসীব করুন আমিন।
সাইফুর রহমান সাহেব কে ভালোবাসতে এবং
শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপি হওয়া লাগবেনা।