ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স প্যারিসে জুলাই বিপ্লবের কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা গুম-খুন, বর্বরতা তদন্তে জাতিসংঘ টিম ঢাকায়

চিরকুট –আহমদ সোহেল

  • আপডেট সময় ০৯:৪২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে

মাঝরাতে কানেভাসে খল খল শব্দ
চোখখুলে আমি হই একেবারে স্তব্দ
ডেকে তুলি পরিবার কেঁদে উঠে কন্যায়
ঘুমাবার খাট দেখি ডুবুডুবু বন্যায়

বাতাসের ঝাটকায় উড়ে যায় টুল্লি
মেচমেচ করে খুঁটি ভেঙেপড়ে চুল্লি
বিদ্যুৎ চলে যায় আন্ধারে হাতড়াই
সবনাশা বন্যায় নিজ ঘরে সাঁতরাই

পিঠে বেঁধে মেয়ে আর কাঁধে নিয়ে পুত্র
ঘর ছেড়ে খুঁজে ফিরি বাঁচবার সুত্র
চারিদিকে থই থই বিদঘুটে আন্ধার
পাশকেটে ভেসেযায় কতজাত জানদার

ভাসাগাছে বাড়ি খেয়ে রুজি যায় তলিয়ে
‘ছেলে মে’কে ধরে রেখো’ শেষ কথা বলিয়ে
রুজিকে বাঁচাতে যাই ছেলে যায় ছিটকে
বউ ছেলে ভেসে যায়, মনে পড়ে পিঠকে–

পিঠেবাঁধা কন্যাও আর দেখি নড়ে না
সবহারা এ আমার সামনে পা’ পড়ে না–
ঠাঁয় থাকি দাঁড়িয়ে যে মন শুধু উৎলায়
পরদিন দেখি নিজে পড়শির দু’তলায়

পাশেরাখা কন্যার লাশটাকে জড়িয়ে
হাহাকার করি শুধু চোখে জল ঝরিয়ে
পানি আর পানি শুধু মাটি দেখি নাইরে
কন্যাটা পাবে না কি কবরেতে ঠাঁইরে?

মেয়েকে ভাসিয়ে শেষে স্রোত যেই দিকে
নিরুপায় বাবা এক চিরকুট লিখে–
’কেউ যদি খুঁজে পাও মাটি আর লাশ
আমার মেয়েকে দিও কবরেতে বাস’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন

চিরকুট –আহমদ সোহেল

আপডেট সময় ০৯:৪২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

মাঝরাতে কানেভাসে খল খল শব্দ
চোখখুলে আমি হই একেবারে স্তব্দ
ডেকে তুলি পরিবার কেঁদে উঠে কন্যায়
ঘুমাবার খাট দেখি ডুবুডুবু বন্যায়

বাতাসের ঝাটকায় উড়ে যায় টুল্লি
মেচমেচ করে খুঁটি ভেঙেপড়ে চুল্লি
বিদ্যুৎ চলে যায় আন্ধারে হাতড়াই
সবনাশা বন্যায় নিজ ঘরে সাঁতরাই

পিঠে বেঁধে মেয়ে আর কাঁধে নিয়ে পুত্র
ঘর ছেড়ে খুঁজে ফিরি বাঁচবার সুত্র
চারিদিকে থই থই বিদঘুটে আন্ধার
পাশকেটে ভেসেযায় কতজাত জানদার

ভাসাগাছে বাড়ি খেয়ে রুজি যায় তলিয়ে
‘ছেলে মে’কে ধরে রেখো’ শেষ কথা বলিয়ে
রুজিকে বাঁচাতে যাই ছেলে যায় ছিটকে
বউ ছেলে ভেসে যায়, মনে পড়ে পিঠকে–

পিঠেবাঁধা কন্যাও আর দেখি নড়ে না
সবহারা এ আমার সামনে পা’ পড়ে না–
ঠাঁয় থাকি দাঁড়িয়ে যে মন শুধু উৎলায়
পরদিন দেখি নিজে পড়শির দু’তলায়

পাশেরাখা কন্যার লাশটাকে জড়িয়ে
হাহাকার করি শুধু চোখে জল ঝরিয়ে
পানি আর পানি শুধু মাটি দেখি নাইরে
কন্যাটা পাবে না কি কবরেতে ঠাঁইরে?

মেয়েকে ভাসিয়ে শেষে স্রোত যেই দিকে
নিরুপায় বাবা এক চিরকুট লিখে–
’কেউ যদি খুঁজে পাও মাটি আর লাশ
আমার মেয়েকে দিও কবরেতে বাস’