ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন ফ্রান্সে ভয়াবহ আবাসন সংকট – বাংলাদেশি প্রবাসীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে “পলাশী ট্র্যাজেডিও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফ্রান্সের সাইন-এ-মার্ন এলাকায় রাস্তায় তরুণীকে ছুরি মেরে আহত করল গৃহহীন যুবক ফ্রান্স বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাফ আয়োজিত “প্যারিসে ৬ষ্ঠ বারের মতো বাণিজ্য মেলা:ঈদ বাজার ২০২৫ ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশী নাহিদ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার -১ ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচনের দাবি রোম মহানগর বিএনপির পখত দ্য পারি সেন্ট ডেনিশে “বাংলা অটো ড্রাইভিং” স্কুলের ৭ম শাখা উদ্বোধন” ফ্রান্স ক্রিকেট বোর্ড’র বাংলাদেশি সদস্যদের আমাদের কথা’র সংবর্ধনা

ধন্যবাদ বাংলাদেশের পুলিশকে, প্রাপ্য স্বীকৃতি পাওয়া উচিৎ

  • আপডেট সময় ১১:৩৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মাদ হাবিব ঃঃ রায়হান আহমেদের হত্যাকারির অন্যতম প্রধান আসামি আকবর ভূইয়াকে আটক পরবর্তি বাংলাদেশ পুলিশের সিলেট বিভাগীয় প্রধানের অন্যতম এসপি ফরিদ উদ্দিন ও রহিম উদ্দিনের কর্ম ও বক্তব্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

আকবর যখন ভারতে চলে গেছে, বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবেনা ভারত থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা। সেটা কোন আবস্থায় সম্ভবও নহে। এখানে দুটি দেশের আইনি বাঁধা রয়েছে।

তবে জেলা পুলিশের দায়িত্ব থেকে বেসরকারি ভাবে সোর্স নিয়োগ করা হয় গ্রেফতারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে।যা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নহে ভারতের খাসিয়া পূজিতে গিয়ে আকবরকে গ্রেফতার করা।

আমার চিন্তা থেকে বুঝেছি আইনের বাঁধা বিপত্তির কারনে পুলিশের সহযোগি হিসাবে রহিমকে পুলিশ সোর্স হিসাবে কাজে লাগাইয়াছেন। রহিম একটি কথা বলছিলেন আকবর কে যখন রশি দিয়ে বাঁধতে আকবর বাঁধা দেয়, তখন রহিম উদ্দিন বলছিল তোই আমাকে চিনস, তোমাকে বেধে ছবি দিতে হবে আমাকে। এতে প্রমানিত হয় রহিম পুলিশের নিয়োগকৃত সোর্স।

এদিকে এসপি ফরিদ উদ্দিনকে বার বার প্রশ্ন করা হয় যে আপনারা কেন গ্রেফতার করেনি ? বুঝার দরকার যে একজন দায়িত্বশীল এসপি ফরিদ উদ্দিন কোন আবস্থায় বলতে পারবেন না যে আমরা ভারত থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি। যার কারনে বার বার তিনি বলছেন কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করেছি।

জনগনের উচিত এসপি ফরিদ উদ্দিনের বক্তব্য কে আমলে নেওয়া, উনি যে সত্য বলছেন এটা মেনে নেওয়া।

আমার চিন্তা থেকে বলছি আকবর ভূইয়া গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা ও সহযোগিতা কমতি ছিলনা, আর রহিম উদ্দিন পুলিশের নিয়োগকৃত সোর্স। উভয়ই উভয়ের সাহযোগি এই ঘঠনায় ধন্যবাদ পুলিশকে এবং রহিম উদ্দিন কে।

আর যারা আবেগে আপ্লুত হয়ে অতি উৎসাহি হয়ে এসপি পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সহ পুলিশদের কে গালাগালি করছেন এটা কোন আবস্থায় সঠিক নয় ? পুলিশের উপর অধিকাংশ মানুষ বেশীর ভাগ সময় অভিযোগ থাকে, তাই বলে ভাল কাজকে কেন আমরা মানতে পারিনা না ? একজন নাগরিক হিসাবে প্রত্যেকের উচিত মন্দ কাজের সমালোচনার পাশাপাশি ভাল কাজের মূল্যায়ন ও ধন্যবাদ জানানো উচিত ।

আকবর ভূইয়াকে গ্রেফতারে সোর্স হিসাবে যিনি নিয়োজিত ছিলেন, তিনি গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন নাই, এটা তার দোষ নয়, লক্ষ কোটি মানুষের মতো তিনিও আবেগ প্রবন হয়ে কিছু কথা বলে ফেলছেন, পেশাদারদের মত গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেননি।যার জন্য পুলিশের সাথে অনেকের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে যেমন, তেমনী রহিম উদ্দিনের সাথেও। একজন প্রবাসী হিসাবে এসপি ফরিদ উদ্দিন সাহেব কে অনুরোধ করছি বিষয়টা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য, বিষেশ করে রহিম উদ্দিনের বিষয়টি।

ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশের এসপি ফরিদ উদ্দিন কে। রায়হান হত্যার প্রধান আসামী আকবর ভূইয়াকে গ্রেফতারে চক তৈরী করে থাকে গ্রেফতারের জন্য।

পরিশেষে একজন প্রবাসী হিসাবে কোটি প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ করিতেছি এই নির্মম হত্যার সঠিক বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

লেখক ঃঃ ফ্রান্স প্রবাসী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী

                                               মোহাম্মাদ হাবীব 
                                              ফ্রান্স প্রবাসী
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

দক্ষিণ সুরমা থানা সমাজকল্যাণ সংস্থা ফ্রান্স-এর নতুন কমিটি গঠন

ধন্যবাদ বাংলাদেশের পুলিশকে, প্রাপ্য স্বীকৃতি পাওয়া উচিৎ

আপডেট সময় ১১:৩৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

মোহাম্মাদ হাবিব ঃঃ রায়হান আহমেদের হত্যাকারির অন্যতম প্রধান আসামি আকবর ভূইয়াকে আটক পরবর্তি বাংলাদেশ পুলিশের সিলেট বিভাগীয় প্রধানের অন্যতম এসপি ফরিদ উদ্দিন ও রহিম উদ্দিনের কর্ম ও বক্তব্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

আকবর যখন ভারতে চলে গেছে, বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবেনা ভারত থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা। সেটা কোন আবস্থায় সম্ভবও নহে। এখানে দুটি দেশের আইনি বাঁধা রয়েছে।

তবে জেলা পুলিশের দায়িত্ব থেকে বেসরকারি ভাবে সোর্স নিয়োগ করা হয় গ্রেফতারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে।যা পুলিশের পক্ষে সম্ভব নহে ভারতের খাসিয়া পূজিতে গিয়ে আকবরকে গ্রেফতার করা।

আমার চিন্তা থেকে বুঝেছি আইনের বাঁধা বিপত্তির কারনে পুলিশের সহযোগি হিসাবে রহিমকে পুলিশ সোর্স হিসাবে কাজে লাগাইয়াছেন। রহিম একটি কথা বলছিলেন আকবর কে যখন রশি দিয়ে বাঁধতে আকবর বাঁধা দেয়, তখন রহিম উদ্দিন বলছিল তোই আমাকে চিনস, তোমাকে বেধে ছবি দিতে হবে আমাকে। এতে প্রমানিত হয় রহিম পুলিশের নিয়োগকৃত সোর্স।

এদিকে এসপি ফরিদ উদ্দিনকে বার বার প্রশ্ন করা হয় যে আপনারা কেন গ্রেফতার করেনি ? বুঝার দরকার যে একজন দায়িত্বশীল এসপি ফরিদ উদ্দিন কোন আবস্থায় বলতে পারবেন না যে আমরা ভারত থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি। যার কারনে বার বার তিনি বলছেন কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করেছি।

জনগনের উচিত এসপি ফরিদ উদ্দিনের বক্তব্য কে আমলে নেওয়া, উনি যে সত্য বলছেন এটা মেনে নেওয়া।

আমার চিন্তা থেকে বলছি আকবর ভূইয়া গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা ও সহযোগিতা কমতি ছিলনা, আর রহিম উদ্দিন পুলিশের নিয়োগকৃত সোর্স। উভয়ই উভয়ের সাহযোগি এই ঘঠনায় ধন্যবাদ পুলিশকে এবং রহিম উদ্দিন কে।

আর যারা আবেগে আপ্লুত হয়ে অতি উৎসাহি হয়ে এসপি পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন সহ পুলিশদের কে গালাগালি করছেন এটা কোন আবস্থায় সঠিক নয় ? পুলিশের উপর অধিকাংশ মানুষ বেশীর ভাগ সময় অভিযোগ থাকে, তাই বলে ভাল কাজকে কেন আমরা মানতে পারিনা না ? একজন নাগরিক হিসাবে প্রত্যেকের উচিত মন্দ কাজের সমালোচনার পাশাপাশি ভাল কাজের মূল্যায়ন ও ধন্যবাদ জানানো উচিত ।

আকবর ভূইয়াকে গ্রেফতারে সোর্স হিসাবে যিনি নিয়োজিত ছিলেন, তিনি গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন নাই, এটা তার দোষ নয়, লক্ষ কোটি মানুষের মতো তিনিও আবেগ প্রবন হয়ে কিছু কথা বলে ফেলছেন, পেশাদারদের মত গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেননি।যার জন্য পুলিশের সাথে অনেকের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে যেমন, তেমনী রহিম উদ্দিনের সাথেও। একজন প্রবাসী হিসাবে এসপি ফরিদ উদ্দিন সাহেব কে অনুরোধ করছি বিষয়টা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য, বিষেশ করে রহিম উদ্দিনের বিষয়টি।

ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশের এসপি ফরিদ উদ্দিন কে। রায়হান হত্যার প্রধান আসামী আকবর ভূইয়াকে গ্রেফতারে চক তৈরী করে থাকে গ্রেফতারের জন্য।

পরিশেষে একজন প্রবাসী হিসাবে কোটি প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ করিতেছি এই নির্মম হত্যার সঠিক বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

লেখক ঃঃ ফ্রান্স প্রবাসী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী

                                               মোহাম্মাদ হাবীব 
                                              ফ্রান্স প্রবাসী