যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যসহ ঢাকা-ভিত্তিক কয়েকটি দূতাবাস নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
জানতে চাইলে সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ডেনমার্ক ইতোমধ্যে আমাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে আরও দেশ পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তাদের অভিমত আমাদের জানাবে।’
দেশগুলো ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন সার্ক ও কমনওয়েলথ তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জায়েছে।
এদিকে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকায় বৈঠকের পর বলেছেন, ‘তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক পর্যবেক্ষক আসবেন। আমরা বলেছি, পর্যবেক্ষকরা যেখানে যাবেন, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তালিকা চেয়েছি। তারা কোথায় কী কী কাজ করবেন, সে বিষয়ে আগে থেকে তালিকা দিয়ে জানাবেন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও তাদের দুই জন বিশেষজ্ঞ নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখার জন্য ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসেছেন।
বুধবার ওই দুইজন বিশেষজ্ঞ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদার দেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহ ও চাপ রয়েছে। তবে কোথাও মিশন পাঠাতে অনেক প্রস্তুতি ও সময়ের ব্যাপার থাকে। এক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। এ কারণে আমরা পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ রক্ষা করতে পারছি না। অবজারভার না পাঠানোর সিদ্ধান্তটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড কোয়ার্টার থেকে এসেছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে তাদের দু’জন বিশেষজ্ঞ ঢাকায় এসেছেন উল্লেখ করে তেরিংক বলেন, ‘এ দু’জন বিশেষজ্ঞ ৪০ দিন বাংলাদেশে থাকবেন।’ এ সময় তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়া দেখবেন বলেও তিনি জানান