ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা বালাগঞ্জে পুলিশের অভিযানে পলাতক আসামি গ্রেফতার আজ অধ্যাপক বদরুজ্জামান’র জন্মদিন: একজন শিক্ষকই নন, এক অনুপ্রেরণার নাম হবিগঞ্জে করিম-মাহমুদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল দর্শক থেকে সমর্থক হোন, সমর্থক থেকে সহযোদ্ধা হোন, তারপর জাতির সেনাপতি হোন। এ লড়াইসবার: হাসনাত আরিয়ান খান প্রবাসিদের ভোটাধিকার এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে : বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা ফ্রান্সে এফএফবিএ সম্মাননায় ভূষিত হলেন বাংলাদেশি নয়ন এনকে ফ্রান্স- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ফ্রান্সে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ প্যারিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

  • আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • ১৮৪ বার পড়া হয়েছে

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

শিওরখাল ওয়ান কমিউনিটির মানবিক উদ্যোগ: পবিত্র রমজানে ১০০ পরিবারে নগদ সহায়তা

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)