ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত সামাজিক সংস্থা ‘সাফ’ এর নতুন কমিটি গঠন : নয়ন সভাপতি, আকাশ হেলাল সহসভাপতি, রুবেল সাধারন সম্পাদক পাথর ও মানুষ – শ্যামল বণিক অঞ্জন বালাগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান: অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার গহরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যকরী কমিটি গঠিত ছাত্রদের স্যালুট, অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করতে হবে- বিচারপতি নজরুল চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ সামাজিক সংগঠন ‘সাফ’ এর উদ্যোগে প্যারিসে ‘বিশ্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দিবস ২০২৪’ পালন বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব থেকে শাহাব উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান জিলুকে বহিস্কার প্যারিসে টেপ টেনিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত : চ্যাম্পিয়ন সিলেট ফাইটার্স

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

  • আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

লক ডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফ্রান্সে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

যুক্তরাজ্যে করোনার মধ্যেই শিশুদের মাঝে নতুন রোগের হানা

জমকালো আয়োজনে সিলেটে “কালবেলা”র দ্বিতীয় প্রতিবার্ষিকী পালিত

ফ্রান্সে ডাক্তারদের সাবধানবানী, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১

সাবধান করে দিলেন ফ্রান্সের ডাক্তাররা। করোনা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে। এরপর হাসপাতালে জায়গা হবে না।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। সাবধানবানী চিকিৎসকদের। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে এরপর ডাক্তারদের ভাবতে বাধ্য হবেন, তাদের হাতে যে পরিকাঠামো আছে, তা দিয়ে কোন রোগীার চিকিৎসা তারা করতে পারবেন, কার করতে পারবেন না।

চিকিৎসকদের এই হুঁশিয়ারি প্রকাশিত হয়েছে ফ্রান্সের একটি সংবাদপত্রে, যেখানে বহু চিকিৎসক সই করেছেন।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন সেখানে চার হাজার ৮০০ মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে(আইসিইউ) ভর্তি হয়ে আছেন। এই বছরে এত মানুষ এর আগে কখনো আইসিইউ-তে থাকেননি। চিকিৎসকরা বলছেন, পরিস্থিতি এর থেকেও অনেক খারাপ হবে। প্যারিসের ৪১টি এলাকার চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা এমন পরিস্থিতির কথা আগে কখনো ভাবতে পারিনি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকেও এই পরিস্থিতি খারাপ।”

চিকিৎসকদের মতে, প্যারিস ও অন্য কিছু জায়গায় সামান্য কড়াকড়ি করা হয়েছে। তার জন্যই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। যদি এখনই কোনো কড়া সিদ্ধান্ত না হয়., তা হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ”আমরা আমাদের হাসপাতালের পরিস্থিতি জানি। তাতে কতজনের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটাও আমাদের জানা। এমন সময় আসছে, যখন আমাদের আগে দেখতে হবে, কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।”

তাদের আশঙ্কা, ”প্যারিসে শীঘ্রই সব আইসিইউ ভর্তি হয়ে যাবে। এরপর একটি আইসিইউ বেডের জন্য দুই বা তার থেকে বেশি রোগী দাবিদার হবেন। তখন আমাদের দেখতে হবে, কাকে আমরা চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারব। আর কাকে ভর্তি করব না। এই পরিস্থিতির দিকেই আমরা এগোচ্ছি।”

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)